নিজস্ব প্রতিবেদক
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। নির্বাচন ঘিরে প্রার্থীরা পুরোদমে প্রচার কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। প্রতীক বরাদ্দের পর থেকেই মাঠে নেমে পড়েছেন তারা।
ভোটের মাঠে নিজের অস্তিত্ব জানান ও উন্নয়ন কর্মকান্ড নিয়ে জনগণের মাঝে প্রতিশ্রুতির ফুলঝুড়ি নিয়ে পৌছে যাচ্ছেন ভোটারদের দোরগোড়ায়। প্রতিদিন উঠান বৈঠক, পথে পথে গণসংযোগ ও মাইকিং সহ নানা মাধ্যমে প্রার্থীরা প্রচার কার্যক্রম চালাচ্ছেন।
বরিশালের ৬টি আসনেও এর ব্যতিক্রম নয়। প্রচার-প্রচারনার শেষ পর্যায়ে প্রার্থীদের নির্বাচনী কর্মযজ্ঞে ভোটের মাঠ এখন সরগরম। বিশেষ করে বরিশাল-২ আসন (উজিরপুর-বানারীপাড়া) এবার উৎকন্ঠা বাড়ছে ভোটারদের মাঝে। এ আসনটিতে ১৪ দলীয় জোটের রাশেদ খান মেনন ‘নৌকা’, জাতীয় পার্টির ইকবাল হোসেন ‘লাঙ্গল’, তৃণমূল বিএনপির শাহজাহান সিরাজ ‘সোনালি আঁশ’, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের নকুল কুমার বিশ্বাস ‘গামছা’, এনপিপির সাহেব আলী ‘আম’, স্বতন্ত্র একে ফাইজুল হক ‘ঈগল’ ও স্বতন্ত্র মনিরুল ইসলাম ‘ঢেঁকি’ নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন।
এর মধ্যে নির্বাচনী মাঠ জমাচ্ছেন নৌকার রাশেদ খান মেনন ও ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী একে ফাইজুল হক। এছাড়া প্রচারণায় রয়েছেন নকুল কুমার বিশ্বাসও।
যদিও জনসমর্থনে এগিয়ে রয়েছেন ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী একে ফাইজুল হক ( রাজু)। সংসদীয় আসন নিয়ে উন্নয়ন ও অগ্রগতির মহাপরিকল্পনা নিয়ে অংশ নিয়েছেন এবারের নির্বাচনে।
দুই উপজেলাবাসির ভাগ্যন্নয়নে প্রত্যাশা ব্যক্ত করে নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তিনি৷ জানা গেছে, একে ফাইজুল হক একজন সমাজ সেবক। সমাজের উন্নয়নে বিভিন্ন সময়ে নানাবিধ ইতিবাচক কর্মকান্ডের মধ্য দিয়ে মানুষের মধ্যে আস্থা অর্জন করেছেন। আর জনসাধারণের দুঃখ দুর্দশা লাঘবের মধ্য দিয়ে নিজেকে তাদের মাঝে বিলিয়ে দেয়ার মাধ্যমে একজন জনসেবক হওয়ার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেই নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন তিনি । গতকাল সাংবাদিকদের দেয়া এক সাক্ষাৎ কারে এমনটাই জানান একে ফাইজুল হক ।
তিনি বলেন, দুই উপজেলায় রাস্তা-ঘাট ব্রিজ কালভার্ট সহ সার্বিক উন্নয়ন ও বাস্তবায়ন করবো। এছাড়া বর্তমানের শিক্ষিতদের মধ্য বড় একটি অংশ বেকার রয়েছে। তাদের বেকারত্ব দূরীকরণ সহ প্রতিষ্ঠিত করতে যাবতীয় ব্যবস্থা গ্রহণে আমার সর্বোচ্চ প্রচেস্টা থাকবে।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, কোন জমি অনাবাদি রাখা যাবেনা। জমিতে আবাদ করে মানুষ যাতে নিজেদের কর্মসংস্থান ও ফসলের চাহিদা পূরণ করতে পারে সেটি বাস্তবায়নে যথাযথ উদ্যোগ গ্রহণ করবো।
এদিকে দুই উপজেলাবাসির ভাগ্যয়োন্ননের মহাপরিকল্পনা ও সেটি বাস্তবায়নের প্রত্যয় নিয়ে ভোটের মাঠে নানাভাবে হয়রানীর শিকার হচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন ফাইজুল হক।
কর্মী সমর্থকদের হুমকি-ধামকি, কার্যালয়ে ভাংচুর, পোস্টার ছেড়া সহ প্রচারণায় নানাবিধ প্রতিবন্ধকতার শিকার হচ্ছেন তিনি। তিনি প্রতিবেদককে বলেন, নৌকার অতিউৎসাহি কিছু লোকদের মাধ্যমে আমার কর্মীদের হুমকি -ধামকি ভয়ভীতি প্রদর্শন করা হচ্ছে। এছাড়া তাদের বাড়ি বাডি নিয়ে হুমকি দেয়া হচ্ছে। নির্বাচনী উঠান বৈঠক সহ কার্যালয় ভাংচুরও করছে তারা।
আমি এসব নিয়ে শংকিত। নির্বাচন কমিশনে অভিযুক্তদের বিরুদ্বে আমি অভিযোগ দিয়েছি। আমার প্রতি জনগনের ভালবাসা ও জনপ্রিয়তায় ঈর্সান্বিত হয়ে আমার কর্মী- সমর্থকদের বাধা দেয়া হচ্ছে।
এমন সংঘাতপুর্ণ অবস্থা বিরাজ থাকলে অপ্রিতিকর অবস্থা আরও বাড়তে পারে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। এতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও নির্বাচন কমিশনের অবাধ – নিরপেক্ষ নির্বাচনের অনুষ্ঠিতের যে স্পস্ট বার্তা তার ব্যত্যয় ঘটবে। এবিষয়ে তিনি সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।
এদিকে ফাইজুল হক আরও বলেন, নৌকার প্রার্থী রাশেদ খান মেনন ছিলেন ওয়ার্কার্স পার্টিতে। তিনি নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে নেমেছেন। তিনি সবসময় ছিলেন কর্মী ও জনগণ বিচ্ছিন্ন। পুর্বের সংগঠনে থাকাবস্থায়ও জনসমর্থনে পিছিয়ে ছিলেন। এর আগের নির্বাচনে তিনি অংশ নিয়েও ভরাডুবি হয়েছিলেন।
ফাইজুল হক রাজু আরও বলেন, জনগনের প্রত্যাশা যথাযথভাবে ও উন্নয়ন কর্মকান্ড বাস্তবায়নে মানুষের সেবার মাধ্যমে নিজেকে নিয়োজিত রাখতে চাই। তাদের সার্বিক কল্যান বাস্তবায়নের নির্বাচনে অংশ নিয়েছি। এজন্য ভোটারদের প্রতি তিনি ভালবাসা ও সমর্থন প্রত্যাশা করেছেন।