অনলাইন ডেস্কঃ ৫০ বছর হয়েছে দেশ স্বাধীন হয়েছে। কিন্তু এই দেশের শ্রমিক দিন মজুর খেটে খাওয়া মানুষগুলো আজও স্বাধীন হতে পারেনি। দেশ স্বাধীনের বয়স যত দীর্ঘ হচ্ছে সমাজের খেটে খাওয়া দিন মজুর ও শ্রমিকদের উপর কর্তৃত্ব প্রদানকারীদের অন্যায়-অবিচার-জুলুম সর্বপরি শোষন নীপিড়ন ততই বাড়ছে। সেটা হোক নিজ অফিস কিংবা মাঠ ও ক্ষেত খামার।
গতকাল মহান মে দিবস উপলকে আয়োজিত এক আলোচনা সভা ও বিক্ষোভ সমাবেশে এসব কথা বলেন বাংলাদেশ ধান গভেষনা ইনিস্টিটিউট বরিশাল আঞ্চলিক কার্যালয়ের শ্রমিক সমিতির নের্তৃবৃন্দ। সকাল ১০ টায় দিবসটি উপলক্ষে আয়োজিত সমাবেশে সংগঠনটির নেতারা বলেন উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের কষ্ট ও দরদ অনুধাবন করেন না।
তারা অনেকটা প্রভাব খাটিয়ে নিয়মের বাইরে গিয়ে শ্রমিকদের অমানসিক ও অসহনীয় কাজ করতে বাধ্য করে। এক এক জন শ্রমিককে দিয়ে নির্ধারিত কাজের চেয়ে বাড়তি কয়েকগুন কাজ করায়। এর জন্য বাড়তি কোন বেতন বা পারিশ্রমিক প্রদান করা হয় না। এছাড়া চাকুরীগত অন্যান্য সুযোগ-সুবিদা কর্মকর্তারা পাই টু পাই ভোগ করলেও শ্রমিকরা নির্ধারিত বেতন বা পারিশ্রমিকের বাইরে এক টাকাও বাড়তি পান না।
অথচ এই শ্রমিকরাই সব ক্ষেত্রে অবদান রেখে পুরো প্রথিবীটাকে বসবাসযোগ্য করে রাখছে। সংগঠনের সভাপতি আনোয়ার হোসেন বলেন, বিষয়টি নিয়ে আন্দোলন সংগ্রাম অনেক হয়েছে। কিন্তু দিনে দিনে পরিস্থিতির উন্নতির চেয়ে অবনতিই বেশী হয়েছে এবং হচ্ছে। তাই দেশ বাঁচাতে ও শ্রমিক বাঁচাতে প্রধান মন্ত্রী ও দেশ নেত্রী শেখ হাসিনা কাছে দাবী জানাচ্ছি শ্রমজীবী,দিনমজুর ও শ্রমিকদের প্রাপ্য অধিকার শতভাগ নিশ্চিত করার।
বাংলাদেশ ধান গভেষনা ইনিস্টিটিউট বরিশাল আঞ্চলিক কার্যালয়ের শ্রমিক সমিতির সভাপতি মোঃ আনোয়ার হোসেন’র সভাপতিত্বে সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন সংগঠনটির সাধারন সম্পাদক শেখ সাইদুল ইসলাম,সহ সভাপতি ফজলুল হক, যুগ্ম সাধারন সম্পাদক হান্নান প্রামানিক ও ইউসুফ আলী। এর আগে ধান গভেষনা ইনিস্টিটিউট বরিশাল আঞ্চলিক কার্যালয়ের শ্রমিক ও কর্মচারীরা একটি র্যালী বের করে সাগরদী হয়ে আমতলার মোড় পর্যন্ত প্রদক্ষীন করে। পরে পুনরায় একই সড়ক হয়ে বরিশাল আঞ্চলিক কার্যালয়ের সামনে গিয়ে র্যালিটি শেষ হয়।