অনলাইন ডেস্কঃ নারায়ণগঞ্জে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে কর্তব্যরত ট্রাফিক পুলিশের এক সদস্যের ওপর হামলা করেছেন এক নারী। রোববার দুপুরে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইল এলাকায় ঘটনাটি ঘটে।
ওই হামলার একটি ভিডিও সোমবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। অভিযুক্ত নারী মোছা. নিলুফা বেগমকে (৩৪) আটক করেছে পুলিশ।
এ ঘটনায় কাঁচপুর হাইওয়ে থানার শিমরাইল পুলিশ ক্যাম্পের এএসআই দ্বীলিপ কুমার বাদী হয়ে আটক নারীসহ অজ্ঞাত কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। পুলিশ এ মামলায় নিলুফা বেগমকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আজ আদালতে পাঠিয়েছে। পরে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। জড়িত অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
হামলার শিকার ট্রাফিক পুলিশের কনস্টেবল মো. সুলতান আহমেদ জানান, উল্টো পথে যান চলাচলে বাধা দেওয়ায় তিনি এ হামালা শিকার হয়েছেন।
জানা গেছে, সিদ্ধিরগঞ্জের মাদানীনগর এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে গতকাল দুপুরে উল্টো পথে যান চলাচল বন্ধে কর্তব্যরত ছিলেন ট্রাফিক পুলিশের কনস্টেবল সুলতান আহমেদ।
এ সময় উল্টোপথে সাইনবোর্ড থেকে চিটাগাং রোডগামী একটি অটোরিকশা আসতে দেখে থামতে বললে অটোরিকশাচালক দ্রুত গতিতে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় নারী যাত্রী নিলুফাসহ রিকশাটি উল্টে পড়ে যায়। এতে করে ওই নারী যাত্রীর ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি ভেঙে যায়।
পরে ওই নারী তার মোবাইলের জরিমানা স্বরূপ কনস্টেবল সুলতানের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন এবং তার কলার ধরে টানা-হেঁচড়া করেন। এ অবস্থা দেখে আশ-পাশের কয়েকজন লোক এসে ওই নারীসহ পুলিশ কনস্টেবল সুলতান আহমেদকে মারধর করতে থাকেন এবং পুলিশ কনস্টেবলের মোবাইল ছিনিয়ে নেন ওই নারী।
এ সময় পুলিশের পোশাক ছিঁড়ে যায়। পরে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা এসে পুলিশ কনস্টেবলকে উদ্ধার করে এবং নারীকে আটক করে। একপর্যায়ে হামলাকারীরা এবং চালক রিকশা নিয়ে পালিয়ে যান। খবর পেয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালে ওই নারীকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
কাঁচপুর হাইওয়ে থানার শিমরাইল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (টিআই) শরফুদ্দিন এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া ভিডিওর বিষয়ে জানতে চাইলে শরফুদ্দিন বলেন, ‘ভিডিও ভাইরাল করার বিষয়ে ব্যবস্থা নেবেন আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।’