ঢাকাSunday , 11 February 2024
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. ইসলাম
  5. এক্সক্লুসিভ
  6. খেলা
  7. জবস
  8. জাতীয়
  9. তথ্যপ্রযুক্তি
  10. ফিচার
  11. বিজ্ঞাপন
  12. বিনোদন
  13. মতামত
  14. রাজনীতি
  15. লাইফস্টাইল
jahid faruk mp
আজকের সর্বশেষ সবখবর

মেডিকেলে ভর্তির সুযোগ পেলেন বরিশালের সাগরদী মাদ্রাসার শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ

admin
February 11, 2024 10:17 pm
Link Copied!

নিজস্ব প্রতিবেদক

অদম্য সাহস, উৎসাহ-অনুপ্রেরণা আর একাগ্রতা থাকলে পাড়ি দেয়া যায় বহুদুর। আর এসবের মধ্যে বিরামহীন পরিশ্রমে সন্ধান মেলে সাফল্যের। পৌছে যাওয়া যায় সাফল্যের চুড়ায়। কাঙ্ক্ষিত সাফল্য অর্জনে বেঘ পোহালেও শেষ মুহুর্তে মেলে আত্নতৃপ্তিও। আর তেমনটিই ঘটেছে শিক্ষার্থী মোঃ আব্দুল্লাহর জীবনে।

কঠোর পরিশ্রমের মধ্য দিয়ে মেডিকেল পরীক্ষায় ভর্তির সুযোগ পেয়ে সাফল্যে অর্জনে সক্ষম হয়েছেন তিনি। গত ৯ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত ভর্তি পরীক্ষায় প্রকাশিত ফলাফলে বাংলাদেশের মধ্য ১৩৮৬ তম স্থানে অবস্থান পেয়ে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন তিনি। জানা গেছে, মোঃ আব্দুল্লাহ বরিশাল জেলার হিজলা উপজেলার হরিনাথপুর ইউনিয়নের বদরপুর গ্রামের বাসিন্দা মোঃ জাকির হোসেন মাহমুদ ও রেহানা বেগম দম্পতির সন্তান।

আব্দুল্লাহ ছোট থেকেই পড়াশুনায় বেশ মনোযোগী । নগরীর দারুল আবরার মডেল কামিল মাদ্রাসা থেকে ২০২১ সালে দাখিল পরীক্ষায় কৃতিত্বের সাথে উত্তীর্ণ হন তিনি। সেখানে ফলাফলে জিপিএ-৫ অর্জন করেন। এরপর ঐতিহ্যবাহী সাগরদী ইসলামিয়া কামিল মাদ্রাসায় ভর্তি হন আলিমে। সেখান থেকেও জিপিএ-৫ অর্জন করে মাদ্রাসা বোর্ডের ফলাফলে বরিশাল বিভাগে প্রথম স্থান অধিকার করেন।

আলিমে অধ্যায়নরত থাকাকালীন সাগরদী মাদ্রাসার হোস্টেলে থেকে পড়াশুনার ফাঁকে মেডিকেলে ভর্তিতে প্রস্ততি নেন। সাথে উৎসাহ ও অনুপ্রেরণা যোগাতে সারথী হন হোস্টেলের দায়িত্বরত সুপার ও মাদ্রাসার সামাজিক বিজ্ঞানের প্রভাষক মোঃ মহাসিন ও দেখাশুনার দায়িত্বে থাকা আল আমিন। এছাড়া উৎসাহ যোগান সহপাঠিরাও। উৎসাহ ও অনুপ্রেরণা পেয়ে নিজেকে বিরামহীন পরিশ্রমের মধ্য দিয়ে নিয়োজিত রেখে মেডিকেলে ভর্তির প্রস্ততি নিতে থাকেন আব্দুল্লাহ। এরপর আবেদন করেন ভর্তি পরীক্ষার। সুযোগ প্রাপ্ত হয়ে সকলের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে আব্দুল্লাহ বলেন, আমার এই সাফল্যের পিছনে অবদান রয়েছে আমার বাবা , মায়ের ও শিক্ষক-সহপাঠীদের।

পড়াশুনার মধ্য মানুষের সেবায় কিভাবে নিয়োজিত রাখা যায় সেটি নিয়েই ভাবতাম । আর বাবা-মায়ের স্বপ্ন ছিলো ডাক্তার হব। সেই লক্ষ নিয়েই পড়াশুনা শুরু করি। এই লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় ছিলো। এখানের হোস্টের সুপার মোঃ মহাসিন হুজুর ও দেখাশুনার দায়িত্বে থাকা আলামিন ভাই সহ সহপাঠীরাও উৎসাহ জুগিয়েছেন। আমি তাদের কাছে চিরকৃতজ্ঞ । জীবদ্দশায় দায়িত্বটুকু মানুষের সেবার মধ্য দিয়েই কাটিয়ে দিতে চাই। এ বিষয়ে তিনি সকলের কাছে দোয়া চেয়েছেন।

নাজমুল হুদা নামের এক সহপাঠী বলেন, মোঃ আব্দুল্লাহ ভাই সব সময় পড়াশুনা নিয়েই ব্যস্ত থাকতেন। সর্বদা বই নিয়ে থাকেন তিনি। আমরা তার সাফল্য কামনা করেছি সবসময়। তিনি সফল হয়েছেন। আমরাও তার থেকে অনুপ্রাণিত হয়েছি।

হোস্টেলের দায়িত্বরত সুপার ও মাদ্রাসার সামাজিক বিজ্ঞানের প্রভাষক মোঃ মহাসিন জানান, আমরা সবসময় চাই শিক্ষার্থীরা সাফল্যে পৌছাবে। আব্দুল্লাহর মধ্যে একাগ্রতা ছিলো। পড়াশুনায় সবসময় ব্যস্ত থাকতো। আব্দুল্লাহ একজন হাফেজও। আব্দুল্লাহর মধ্যে একটি টার্গেট ছিলো। সে লক্ষে পৌছাবে এটাই প্রত্যাশা। আমরা খুবই আনন্দিত তার কৃতিত্বে।

মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা আরও এগিয়ে যাবে। আমরা আশা করি দেশ ও জাতির কল্যানে অগ্রসর হয়ে উল্লেখযোগ্য ভুমিকা রাখবে তারা ।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

jahid faruk mp