নিজস্ব প্রতিবেদকঃ আসন্ন বরিশাল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন। নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রার্থীরা ক্রমেই প্রচারণার গতি বাড়াচ্ছেন। পৌছে যাচ্ছেন মানুষের দোরগোড়ায়। মানুষকে উন্নয়নের নানা প্রতিশ্রুতিও দিচ্ছেন। সাধারণ মানুষও তাদের কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন সম্ভব এমন ব্যক্তিত্বকে বেছে নিবেন বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন। সিটি নির্বাচনে বর্তমান কাউন্সিলর ছাড়াও এবারে অংশ নিয়েছেন নতুন মুখ। জনসাধারণের সেবায় নিজেকে বিলিয়ে দিতেই তারা অংশ নিয়েছেন নির্বাচনে।
তেমনি সিটি কর্পোরেশনের ২৩ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী মাস্টার মোঃ মিজানুর রহমান। মানুষের কাঙ্ক্ষিত সেবা নিশ্চিতে অংশ নিয়েছেন নির্বাচনে। যদিও গত সিটি নির্বাচনেও তিনি অংশ নিয়েছিলেন। এবারেও মানুষের সেবায় নিরলস কাজ করবেন এমন প্রত্যাশা নিয়েই টিফিন ক্যারিয়ার প্রতীকে লড়বেন তিনি।
জানা যায়, ওয়ার্ডবাসীর সুবিধা-অসুবিধায় সর্বদাই পাশে ছিলেন মিজানুর রহমান । তিনি একজন সমাজ সেবক। সমাজের উন্নয়নে অবহেলিত মানুষের পাশে থেকে জীবনের গুরুত্বপূর্ণ সময়গুলো অতিবাহিত করে চলেছেন। সেই সেবার ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতেই এবারে অংশ নিচ্ছেন নির্বাচনে। মূলত একজন জনপ্রতিনিধি হতে নয় একজন সফল জনসেবক হিসেবে মানুষের মাঝে নিজেকে বিলিয়ে দেয়ার প্রয়াসেই তার এ স্বীদ্ধান্ত। এ সমাজ সেবক ২৩ নং ওয়ার্ডবাসীসহ সর্ব মহলে ইতিমধ্যে মানবিক ব্যক্তিত্ব হিসেবে সুপরিচিতি লাভ করেছেন।
ওয়ার্ডের স্থানীয়রা জানান, ইতিবাচক মুল্যবোধের অধিকারী সম্পন্ন ব্যক্তিত্ব মোঃ মিজানুর রহমান জীবনের গুরুত্বপূর্ণ সময় মানুষকে সেবার মধ্য দিয়ে কাটিয়ে যাচ্ছেন। ওয়ার্ডবাসীর ভাগ্যয়োন্ননের প্রয়াসে দিন-রাত স্বপ্ন বুনে চলেছেন।
স্থানীয় আরও কয়েকজন জানান, ওয়ার্ডের কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন সম্ভব হয়নি। আমরা নতুন কোন জনপ্রতিনিধির অপেক্ষায় রয়েছি। যিনি শুধু বরাদ্দের বাইরে নিজস্ব উদ্যোগে ঘোচাবেন মানুষের দুর্ভোগ। ওয়ার্ডকে একটি নান্দনিকতা উপহার দিবেন।
মাস্টার মোঃ মিজানুর রহমান জানান, মানুষের সেবার উদ্দেশ্য নিয়েই এবারেও নির্বাচনে অংশ নিয়েছি। মানুষ যাতে কাঙ্ক্ষিত সেবা প্রাপ্ত হতে পারেন সেজন্য আমার সর্বোচ্চ প্রচেস্টা অব্যাহত থাকবে। জনগণের জন্য আমার দরজা সবসময়ে খোলা থাকবে। তিনি আরও বলেন, এই ওয়ার্ডের মানুষ আমায় ভালবাসে। তাদের এমন ভালবাসাই আমার শক্তি। তাদের পাশে আগেও যেমন ছিলাম বর্তমানেও আছি আর মৃত্যুর পুর্ব পর্যন্ত জনগণের সেবায়ই থাকবে আমার একমাত্র উদ্দেশ্য।
ওয়ার্ডের রাস্তা ঘাট অনুন্নত, ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। এতে মানুষের পানিবন্দি হয়ে থাকতে হয়। মাদকের সয়লাব রয়েছে। এছাড়া নানাবিধ সমস্যা রয়েছেন ওয়ার্ডটিতে। নির্বাচিত হলে মানুষের এসব সমস্যা নিরসন করব। মানুষের সেবায় আমার সর্বোচ্চ প্রচেস্টা অব্যাহত থাকবে।