নিজস্ব প্রতিবেদক
বরিশালে নগরীতে বিএনপির শোক র্যালিতে হামলা চালিয়ে হত্যা চেষ্টার অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী ও মেয়রের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
মামলায় শেখ হাসিনা ছাড়াও সাবেক বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী, পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী, সিটি করপোরেশনের সাবেক দুই মেয়র, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানসহ আওয়ামী লীগের নয় শতাধিক নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে।
মহানগর বিএনপির সদস্যসচিব জিয়াউদ্দিন সিকদার বাদী হয়ে কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলাটি করেন বলে ওসি মিজানুর রহমান বলেন। মামলা নম্বর ৩২।
জিয়াউদ্দিন সিকদার বলেন, এর আগে ১০ সেপ্টেম্বর কোতোয়ালি মডেল থানায় এজাহার দেন তিনি। তখন ভুল-ভ্রান্তির কথা বলে থানা পুলিশ আবেদনটি মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করেনি। পরে তিনি আদালতের শরণাপন্ন হন। আদালত তাকে ফের থানায় মামলা করার নির্দেশ দেন।
বাদীর দাবি, পাশাপাশি ওসিকে তলব করে বিচারক মামলা নেওয়ার নির্দেশ দেন। এরপর গত ১০ অক্টোবর দ্বিতীয় দফায় থানায় অভিযোগ জমা দেন জিয়াউদ্দিন।
ওসি মিজানুর রহমান বলেন, যাচাই-বাছাই শেষে এজাহারটি রোববার মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করা হয়েছে। মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হুকুমের প্রধান আসামি করা হয়েছে। এছাড়া ৫০৩ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা ৪০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, প্রধান আসামি শেখ হাসিনা গত ১৫ বছর ধরে সমগ্র বাংলাদেশকে একটি নৈরাজ্যের জনপদ ও ভয়াল উপত্যকায় পরিণত করেন। সাধারণ মানুষ প্রধান আসামি শেখ হাসিনার স্বৈরাচারী আচরণের প্রতিবাদ করলেই অন্য আসামিরা অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়তেন।
ঘটনার আগে থেকেই ছাত্র-জনতার আন্দোলনকে স্তব্ধ করার জন্য ১ নম্বর আসামির হুকুমে অন্য আসামিরা অস্ত্রের মহড়া দিয়ে আসছিলেন।
এ পরিস্থিতিতে ১৯ জুলাই দুপুরে নগরীর দুপুরে সিঅ্যান্ডবি সড়কে বিএনপি শোক র্যালি বের করে।
ছাত্র-জনতাকে নিয়ে বের করা র্যালিটি নস্যাৎ করতে শেখ হাসিনার নির্দেশে আসামিরা সশস্ত্র অবস্থায় বিস্ফোরক দ্রব্য ও বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে হামলা করেন।
আসামিরা হত্যার উদ্দেশ্যে তাদের হাতে থাকা পিস্তল, শর্টগান ও পিস্তল দিয়ে গুলি ছুড়েন।
পরে মামলার বাদীর কাছ থেকে লাইসেন্স করা পিস্তল ও নগদ প্রায় ৩ লাখ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে তাকে ও মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান ফারুকসহ বেশ কয়েকজনকে কুপিয়ে জখম করেন।