অনলাইন ডেস্ক
ছাত্র আন্দোলন চলাকালে বরিশালে বিএনপির শান্তি মিছিলে হামলার ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ দলটির ৫০৪ জনসহ অজ্ঞাত ৩০০/৪০০ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা আদলতে দায়ের করা হয়েছে।মনিরুজ্জামান খান ফারুক বলেন থানায় মামলা নিতে গড়িমসি করায় এবং থানার পরামর্শে দিলে আমরা আদালতে মামলা দায়ের করি। গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর এই প্রথম বরিশালে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মামলা হলো। এর আগে হওয়া আরো ৩টি মামলায় স্থানীয় নেতা—কর্মীদের আসামি করা হয়।
সোমবার (১০ অক্টোবর) সকালে বরিশাল চীফমেট্রোপলিটন আমলি আদালতে মামলার আবেদন করলে বিচারক মামলাটি থানায় এজাহারের নির্দেশ দেন। থানার ওসি মিজানুর রহমান মামলার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। এ মামলায় সাবেক মন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাবেক প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক শামীমসহ একাধিক শীর্ষ নেতাকে আসামি করা হয়েছে। অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে ৩০০/৪০০ নেতাকর্মীকে।
মামলায় উল্লেখযোগ্য বাকি আসামিরা হলেন— বরিশালের সাবেক সিটি মেয়র আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ খোকন সেরনিয়াবাত, সাবেক সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদেক আব্দুল্লাহ, সাবেক জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান একেএম জাহাঙ্গীর।
গত ১৯ জুলাই নগরীর সিঅ্যান্ডবি রোডে বিএনপির শান্তি সমাবেশে হামলার অভিযোগ এনে সোমবার মামলাটি করা হয়। এতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হুকুমের আসামি করা হয়েছে।
মামলার করতে এত দেরিহল কেন এ বিষয়ে জানতে চাইলে বরিশাল মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ও সদস্য সচিব জানান, বিগত আমলের সৈরস্বাশক সরকারের পথন হলেও এখনো রয়ে গেছে তাদের দোসর তারা এখনো বিভিন্ন জায়গায় বহাল আছে। তাদেরকে অপসারন না করতে পারলে দেশ সংস্কার করা কঠিন হয়ে পরবে।দ্রুত তাদের বিরুদ্বে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান এই নেতা কর্মীরা।
এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, গত ১৯ জুলাই বিকেলে নগরীর সিএন্ডবি রোড চৌমাথা এলাকায় বিএনপির ঘোষিত শান্তি সমাবেশ (শোক র্যালি) কর্মসূচিতে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা হামলা চালায়। এ হামলা সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হুকুমে পূর্বপরিকল্পিতভাবে হয়েছে। তখন হত্যার উদ্দেশ্যে বাদী ও কয়েকজন সাক্ষীকে কুপিয়ে—পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে বলে মামলায় উল্লেখ হয়। এছাড়াও এজাহারে আসামিদের বিরুদ্ধে গুলি ও ককটেল বিস্ফোরণ, স্বর্ণের চেইন, মোবাইল, টাকা ছিনতাইসহ বিভিন্ন অভিযোগ আনা হয়েছে।