নিজস্ব প্রতিবেদক
বরিশাল নগরীর প্রয়াত সাবেক মেয়র শওকত হোসেন হিরনের দশম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হয়েছে।
আজ বাদ আছর এ উপলক্ষ্যে দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। পরিবারের উদ্যোগে নগরীর নুরিয়া স্কুল জামে মসজিদে দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। এতে বরিশালের সর্বস্তরের মানুষ অংশ নেন।
এরপর তার বাসভবনে ইফতারের পুর্ব মুহুর্তে দোয়া ও মিলাদের আয়োজন করা হয়। এতে স্থানীয়সহ বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠিত দোয়া মোনাজাতে সাবেক প্রয়াত মেয়রকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ ও তার রুহের মাঘফেরাত কামনা করা হয়।
বাসভবনে অনুষ্ঠিত দোয়ায় উপস্থিত ছিলেন শওকত হোসেন হিরণের পত্নী বরিশাল সদর-৫ আসনের সাবেক এমপি ও মহানগর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি জেবুন্নেছা আফরোজ হিরণ।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন তার বড় কন্যা হুসাইন ফাতেমা ই রোস্নি ও ছেলে রাফসান সাজিদ হোসেন সহ স্থানীয়রা।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ৯ এপ্রিল না ফেরার দেশে পাড়ি জমান আধুনিক বরিশালের রূপকার সাবেক মেয়র ও সংসদ সদস্য শওকত হোসেন হিরন।
তিনি না থাকলেও আজও তার প্রতিচ্ছবি ভেসে উঠছে তারই রেখে যাওয়া স্মৃতি এবং উন্নয়ন কর্মকান্ডে।জানা গেছে, ২০০৮ সালের ৪ আগস্ট তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীন বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিজয় অর্জন করেন এবং মেয়র নির্বাচিত হন শওকত হোসেন হিরন। তিনি বরিশাল সিটি করপোরেশনের দ্বিতীয় পরিষদে মেয়র হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পরপরই পাল্টে যায় নগরীর চিত্র। উন্নয়ন বঞ্চিত বরিশাল সিটিকে আধুনিক রূপে পরিচয় করিয়ে দেন তিনি।তবে ২০১৩ সালের ১৫ জুন বরিশাল সিটি’র তৃতীয় পরিষদের নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী আহসান হাবিব কামালের কাছে অল্প ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হতে হয় শওকত হোসেন হিরনকে।পরে অবশ্য ২০১৪ সালের ১০ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তার ত্যাগের মূল্যায়ন করেন আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি শওকত হোসেন হিরনকে বরিশাল সদর আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী করেন এবং একই বছরের ৫ জানুয়ারি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন।২০১৪ সালের ২২ মার্চ রাতে বরিশাল ক্লাবে বসে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। প্রথমে তাকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা এবং পরবর্তীতে সিঙ্গাপুরেও নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে দেশে ফিরিয়ে এনে অ্যাপোলো হাসপাতালে কৃত্রিম শ্বাস-প্রশ্বাস দিয়ে রাখা হয় হিরনকে। কিন্তু সবাইকে কাঁদিয়ে ৯ এপ্রিল না ফেরার দেশে চলে যান তিনি।