অনলাইন ডেস্কঃ আগামী সপ্তাহে দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হবে, যা ক্রমান্বয়ে শক্তি সঞ্চয় করে পরিণত হতে পারে তীব্র ঘূর্ণিঝড়ে। তবে এর আগে দেশের ওপর দিয়ে বয়ে যেতে আরেক দফা তাপপ্রবাহ।
আবহাওয়াবিদরা বলছেন, এখনো লঘুচাপ সৃষ্টি হয়নি। আরও দুদিন লাগতে পারে। এরপর এটি ধীরে ধীরে শক্তি সঞ্চয় করে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে। এরপর রূপ নিতে পারে ঘূর্ণিঝড়ে। এটি বাংলাদেশ-মিয়ানমার উপকূলের দিকে অগ্রসর হতে পারে।
আবহাওয়ারবিদ কামরুল হাসান বলেন, মে মাসের ঘূর্ণিঝড়গুলো বাংলাদেশ-মিয়ানমার উপকূলের দিকেই যায়। এটির গতিমুখও সেদিকে।
আবহাওয়াবিদ গোলাম রব্বানী বলেন, এখন পর্যন্ত ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হওয়ার যে সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে, তাতে ১২ বা ১৩ মে’র দিকে বাংলাদেশ-মিয়ানমার উপকূলের দিকে আঘাত হানতে পারে। বর্তমানে বাংলাদেশ উপকূলে আঘাত হানার সম্ভাবনা হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ। তার মানে এটা কোথায় হিট করবে, তা নিশ্চিত হতে আরও তিন থেকে চারদিন অপেক্ষা করতে হবে।
আবহাওয়াবিদ খো. হাফিজুর রহমান বলেন, ঘূর্ণিঝড় আসার আগে দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল এবং মধ্যাঞ্চলে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। আগামী সপ্তাহের শুরুর দিকে উত্তরাঞ্চলে হালকা বৃষ্টিপাত হতে পারে। তবে ঘূর্ণিঝড় যদি বাংলাদেশ উপকূলে আঘাত হানে, তবে বৃষ্টিপাতে ধরনের পরিবর্তন আসতে পারে।
এক পূর্বাভাসে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে।
শুক্রবার (০৫ মে) সন্ধ্যা পর্যন্ত রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে।
সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা ১-২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়তে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। ঢাকায় পশ্চিম অথবা দক্ষিণ-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৮-১২ কিলোমিটার, যা অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়ায় ৩০-৪০ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়তে পারে।
অন্য এক পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রংপুর, দিনাজপুর, রাজশাহী, পাবনা, বগুড়া, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, ঢাকা, ফরিদপুর, মাদারীপুর, যশোর, কুষ্টিয়া, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম এবং সিলেট অঞ্চলসমূহের ওপর দিয়ে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরসমূহকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।