নিজস্ব প্রতিবেদকঃ প্রতীক বরাদ্দের পর উন্নয়নের প্রতিশ্রুতির ফুলঝুড়ি ছড়াচ্ছেন বরিশাল সিটি করপোরেশন (বিসিসি) নির্বাচনে প্রধান মেয়র প্রার্থীরা।
শুক্রবার প্রতীক বরাদ্দের পর নির্বাচন জমে উঠেছে বরিশাল সিটি নির্বাচন। পোস্টারে ছেয়ে গেছে পুরো নগরী। হন্যে হয়ে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ছুটছেন প্রার্থীরা। করছেন উঠান বৈঠক-সভা-সমাবেশ। দিচ্ছেন নানা প্রতিশ্রুতি। সুষ্ঠু নির্বাচন হলে জয়ের আশা করছেন মেয়র প্রার্থীরা। তাদের পক্ষে নেমেছেন বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
শনিবার দিনের প্রথমভাগে দলীয় অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন সভায় যোগদান করেন নৌকার প্রার্থী আবুল খায়ের খোকন সেরনিয়াবাত। সভায় নৌকা বিজয়ী করতে সর্বশক্তি নিয়োগের নির্দেশনা দেন তিনি।
দুপুরে নগরীর সদর রোডে নৌকার পক্ষে মিছিল করেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে মিছিলটি দক্ষিণ সদর রোডে নৌকার প্রধান নির্বাচনী কার্যালয় চত্বরে গিয়ে শেষ হয়। মিছিল থেকে নৌকাকে বিজয়ী করার আহ্বান জানানো হয়।
সকাল সাড়ে ১১টায় নগরীর ২১ নং ওয়ার্ডের অক্সফোর্ড মিশন রোডে গণসংযোগ করেন জাতীয় পার্টির প্রার্থী ইকবাল হেসেন তাপস। বরিশালকে উৎপাদনমুখি আইটি নগরী গড়তে লাঙ্গলে ভোট চান তিনি।
গণসংযোগের সময় ইকবাল হোসেন তাপস গণমাধ্যমকে বলেন, সিটি ভোটের দিকে সারা বিশ্ব তাকিয়ে আছে। এই ভোটে অনিয়ম হলে বরিশাল থেকেই সরকার পতন আন্দোলনের সূচনা হবে।
তিনি সুষ্ঠু ভোট নিশ্চিত করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। তাপস বলেন, যে প্রার্থী (আওয়ামী লীগ) তার আপন বড় ভাই এবং ভাতিজার উপর আস্থা রাখতে পারে না। তার উপর বরিশালের জনগণ আস্থা রাখবে কিভাবে। ১২ জুন সরকারের বিরুদ্ধে নিরব ভোট বিপ্লব হবে আশা তার।
নগরীর বাংলাবাজার এলাকায় সকাল ১১টায় গণসংযোগ করেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ প্রার্থী মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম। এ সময় বরিশালের অবকাঠামো উন্নয়ন এবং মানুষের নৈতিক উন্নয়নে ১২ জুন হাতপাখায় ভোট চান তিনি।
মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল বলেন, আমি কোন দলমত চিনি না। আমি সকল ভোটারের দ্বারে দ্বারে যাচ্ছি। তাদের সমর্থন এবং দোয়া চাইছি। নির্বাচিত হতে পাড়লে আধুনিক বরিশাল নগরী বিনির্মাণ করবেন তিনি। যেখানে চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, দখলবাজি, সন্ত্রাস, চুরি, ডাকাতি, মাদক এবং ইভটিজিং থাকবে না।
বিএনপি’র প্রয়াত সাবেক মেয়র আহসান হাবিব কামালের ছেলে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী কামরুল আহসান রূপন শনিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত নগরীর ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের গড়িয়ারপাড়, কলাডেমা এবং কাশীপুর চৌমাথা এলাকায় গণসংযোগ করেন। তিনিও বরিশালের পরিকল্পিত উন্নয়নে ১২ জুন টেবিল ঘড়ি প্রতীকে ভোট প্রার্থনা করেন।
অন্য তিন মেয়র প্রার্থীর নির্বাচনী তৎপরতা দৃশ্যমান নয়।
১২ জুন বরিশাল সিটিতে ১২৬টি কেন্দ্রের ৮৯৪টি বুথে ইভিএমে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এবার মোট ভোটার ২ লাখ ৭৬ হাজার ২৯৮ জন। এর মধ্যে নারী ভোটার ১ লাখ ৩৮ হাজার ৮০৯ জন এবং পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪শ’ ৮৯ জন।