ঢাকাThursday , 25 May 2023
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. ইসলাম
  5. এক্সক্লুসিভ
  6. খেলা
  7. জবস
  8. জাতীয়
  9. তথ্যপ্রযুক্তি
  10. ফিচার
  11. বিজ্ঞাপন
  12. বিনোদন
  13. মতামত
  14. রাজনীতি
  15. লাইফস্টাইল
jahid faruk mp
আজকের সর্বশেষ সবখবর

১৫ নং ওয়ার্ড, ভোটারদের পছন্দের শীর্ষে মোয়াজ্জেম হোসেন চুন্নু

admin
May 25, 2023 2:24 am
Link Copied!

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ বরিশাল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনকে সামনে রেখে ভোটারদের দ্বারে উপস্থিত হচ্ছেন মেয়র এবং কাউন্সিলর প্রার্থীরা।সকলেই দিচ্ছেন বিভিন্ন ধরনের প্রতিশ্রুতির ফুলঝুড়ি। সকল ওয়ার্ডের মাঝে ১৫ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নির্বাচন পেয়েছে ভিন্নমাত্রা। কারন হিসেবে এই ওয়ার্ডেই বসবাস করেন নৌকার মনোনীত প্রার্থী আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ ওরফে খোকন সেরনিয়াবাত এবং বর্তমান সরকারের পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী কর্নেল (অব:) জাহিদ ফারুক শামিম ,তাই এদের সমর্থন কার দিকে এটা নিয়েও ভোটারদের কৌতুহল আছে। ৩০ ওয়ার্ডের মধ্যে ১৫ নং ওয়ার্ডেই নির্বাচনের আমেজ একটু আগাম শুরু হয়েছে।

মাঝ রমজানেই প্রার্থীরা তাদের প্রার্থীতা প্রকাশ করেছেন বিভিন্ন আকর্শনীয় পোষ্টারের মাধ্যমে ওয়ার্ড বাসীকে ব্যক্তিগত ঈদের শুভেচ্ছা দিয়ে আবার কেউবা দিয়েছে দলের স্থানীয় শীর্ষ নেতার পক্ষ থেকে।তাই মনোনয়নপত্র দাখিল এর আগেই অলি গলি ভরে গিয়েছিল বিভিন্ন প্রার্থীর রং বেরং এর পোষ্টারে। আর সাথে সাথে ভোটারদের কাছে নিজেদের পরিচিত এবং যোগ্য হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে চষে বেরাচ্ছেন ওয়ার্ডের প্রতিটি অলিগলি।

কিন্তু ১৫ নং ওয়ার্ডের নির্বাচনে ভোটারদের রয়েছে প্রার্থীদের নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। এই ওয়ার্ডে নির্বাচনে লড়ছেন মোট সাত জন প্রার্থী। ভোটাররা তাই প্রার্থী নির্বাচনে বিভিন্ন বিষয়কে মাথায় নিয়ে তাদের সিদ্ধান্ত নিবেন বলে তারা প্রকাশ করেন।

অন্য ওয়ার্ডের চেয়ে ১৫ নং ওয়ার্ডে অর্থের ছড়াছড়ির আধিক্য বেশী। দুই প্রার্থীর বিরুদ্ধে অনেক ভোটাররাই অর্থের বিনিময়ে ভোট ক্রয়ের চেষ্টার অভিযোগ করেন। ১৫ নং ওয়ার্ডের শরীফ বাড়ি এলাকার ভোটার আবুল কালাম আজাদ বলেন ,” দুই প্রার্থী টাকার বিনিময়ে তাদের দুর্বলতাকে ঢাকতে চেষ্টা করছেন,একজন আমেরিকায় থাকেন মাঝে মাঝেই বিশেষ করে ভোটের সময় হলেই প্রার্থী হন আর টাকা বিলিয়ে সমাজসেবক সাজেন। কিন্তু তিনি তো ভোটের পরে আবার আমেরিকায় যাবেন।জনগন বিপদে আপদে তাকে পাবো কোথায়?”

অপর এক প্রার্থী সম্পর্কে হরিজন কলোনীর বিজয় বলেন, “মোগো ভোট এক পোলা টাহাইদ্যা কেনতে চায়! ও বোঝে না যে ,আমাগো লাগবে শালিস বিচার হরার মতো যোগ্য ,শিক্ষিত মানুষ বাবু অয় নাই।অইডু পোলায় কি বোঝে শালিস বিচারের।”
আমাদের বরিশাল ডটমকমের প্রতিবেধকরা ১৫ নং ওয়ার্ডের সাধারন ভোটারদের সাথে কথা বলে যা বুঝতে পেরেছেন তা হোল ভোটারা এবার অনেক সচেতন ,তারা গতবারে কাউন্সিলর ভোট দিতে পারেন নাই।আর যে ব্যক্তি তাদের উপর চেপে বসেছিলেন তিনি কোন ধরনের দায়িত্ব পালন করেন নাই ,উল্টা ভোটারদের তিরস্কার করতেন, “তোদের ভোটে আমি হইছি!” তাই তারা ভেবেচিন্তে তাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করবেন।

প্রার্থীদের মধ্যে পেস্কার বাড়ি এলাকার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ভোটার তাদের এলাকার এক প্রার্থী সম্পর্কে বলেন,” আমাগো বাড়ির যে প্রার্থী ও তো মানষিক রোগী,ওরে বাড়ির মানুষরাই ভোট দেবে কিনা সন্দেহ আছে।”

এইভাবে মানুষ প্রকারান্তে তাদের পছন্দের প্রার্থী সম্পর্কে তাদের শিক্ষাগত যোগ্যতা ,সামাজিক দায়বদ্ধতা, বয়স-অভিজ্ঞতা, রাজনৈতিক ক্ষেত্রে প্রার্থীর অবস্থান এবং বিগত দিনে তাদের কর্মকান্ডকে প্রধান্য দিচ্ছেন। সাথে সাথে তাদের এলাকায় থাকার প্রবনতাকেও প্রধান্য দিচ্ছেন। তারা ইতিমধ্যেই একজনকে আমেরিকায় প্রবাসী ও অপর এক প্রার্থী তার পেশাগত কারনে ঢাকায় থাকাকে তাদের অযোগ্যতা হিসেবে নিচ্ছেন।

১৫ নং ওয়ার্ডে মোট প্রার্থী সাতজন ,তারা হলেন মো: মোয়াজ্জেম হোসেন তালুকদার ওরফে চুন্নু, মাহমুদ আলম , মো: সামজিদুল কবির, মো: নকিবুর রহমান, মো:আব্দুল কাদের শামিম, মো:সিদ্দিকুর রহমান ও মো: মাকসুদ আলম।

এদের মধ্যে শিক্ষাগত যোগ্যতায় এগিয়ে আছেন মো:মোয়াজ্জেম হোসেন চুন্নু ,তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পদার্থ বিজ্ঞানে স্নাতক সম্মান সহ স্নাকোত্তর পাশ। তিনি সরকারী হাতেম আলী কলেজ বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ,বরিশাল শহর ছাত্রলীগ(বর্তমানে মহানগর ছাত্রলীগ) এর দীর্ঘ সময়ের সাবেক সাধারন সম্পাদক এবং বর্তমান বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এর দায়িত্বে আছেন।

তিনি সকলের কাছেই ভাল মানুষ এবং রাজনৈতিক নেতা হিসেবেই সমাধিক পরিচিত। এলাকায় তার কোন ধরনের বদনাম নেই বলে সাধারন ভোটারদের নিকট ইতিমধ্যেই গ্রহন্যোগ্যতা অর্জন করেছেন।

মাহমুদ আলম বিএনপির রাজনীতিতে জড়িত। তিনি এর আগেও দুইবার নির্বাচন করে পরাজিত হয়েছেন।যার জন্য ভোটাররা তার আমেরিকায় প্রবাসী হওয়াকেই কারন হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। ভোটাররা ভোটের পরে তাকে খুজে পাওয়া যাবে কিনা সে ব্যাপারে সন্দিহান। তবে তিনি প্রচারে ব্যস্ত সময় পার করছেন।

আব্দুল কাদির শামিম আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে বিশ্বাসী।তিনি এলাকায় স্বাভাবিক ভাবে মানুষদের সাথে মেলামেশার অভ্যস্ত নন। তার বিরুদ্ধে অতিকথন এবং ভারসাম্যহীন কতাবার্তা বলার অভিযোগ করেন তারই বাড়ির ভোটাররা।

সামজিদুল কবির বাবু এইচ,এস,সি পাশ। তিনি এলকায় বিএনপির আদর্শে বিশ্বাসী পরিবারের সদস্য হিসেবে পরিচিত।তার পিতা প্রয়াত হুমায়ন বিএনপিকে সকল নির্বাচনে বিপুল অর্থ দিয়ে সাহায্য করতেন।

আর তার দুই প্রধান নির্বাচনের সমন্বয়কারী ইমন ও রাহাত হলেন যথাক্রমে ১৫ নং ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য সচিব ও স্বেচ্চাসেবক দল মহানগর কমিটির যুগ্ম আহবায়ক।

তার বিরুদ্ধেও টাকা ছড়ানোর অভিযোগ সকল প্রার্থীর। তবে তার বয়স ও অভিজ্ঞতাকে কাউন্সিলর হিসেবে বেমানান হিসেবে উল্লেখ যোগ্য ভোটাররা মতামত দিয়েছেন আমাদের বরিশাল ডটকম এর প্রতিবেদকদের কাছে। তারসাথে ভোট এর ক্যাম্পইনে যারা যাচ্ছেন তাদের মধ্যে অনেককেই সাধারন ভোটাররা ভালভাবে নিচ্ছেন না। কারন হিসেবে তারা বলছেন ,”বাবুর সাথে যারা ভোট চাইতে আসে তারা অনেকেই আছে যারা সমাজের বিপদগামী যুবক হিসেবে চিহ্নিত ।”

নকিবুর রহমান তিনি শিক্ষাগত যোগ্যতায় সবার চেয়ে নিচে অবস্থান করছেন।তিনি আওয়ামী যুবলীগ নেতা। তিনি এর আগেও প্রার্থী হয়েছিলেন এবং একবার পরাজিত হয়েছেন। আরেকবার তার বিরুদ্ধে অন্য প্রার্থীর নিকট থেকে অর্থ নিয়ে প্রার্থীতা প্রত্যাহারের অভিযোগ আছে।

মো:সিদ্দিকুর রহমান বিএনপি’র রাজনীতির সাথে জড়িত। তার নির্দ্দিষ্ট এলাকার মাঝে ভোট আছে। তিনিও ব্যক্তি হিসেবে ওয়ার্ডের সবখানে তেমনভাবে পরিচিত নন।তবে তিনিও মোটামুটি ভোটারদের দৃষ্টি আকর্শন করতে পেরেছেন।

মো:মাকসুদ আলম তিনি এল,এল,বি পাশ। তিনি পেশাগত কারনেই ঢাকায় থাকেন। নির্বাচনে অংগ্রহন করতে বর্তমানে এলাকায় অবস্থান করছেন। তিনি বি,এম,কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক।পেশাগত কারনে ঢাকায় থাকার বিষয়টি সাধারন ভোটারগন ভালভাবে নিচ্ছেন না।তারা চান তাদের প্রতিনিধি যে ই হবেন তিনি জনসাধারনের সার্বক্ষনিক ভাবে তাদের পাশে থাকবেন।

১৫ নং ওয়ার্ডবাসী তাদের ভোটের সিদ্ধান্ত নিতে যে সকল বিষয়কে গুরুত্ব দিচ্ছেন সে বিবেচনায় তারা তাদের সঠিক প্রার্থী আগামী ১২ জুন ব্যালটের মাধ্যমে বেছে নিবেন বলে জানিয়েছেন।

এখন পর্যন্ত এলাকার ভোটের পরিবেশ শান্তিপূর্ন থাকলেও ভোটারাধিকার প্রয়োগ করার বিষয়ে কিছুটা সন্দিহান সাধারন ভোটারগন।আর বিশেষভাবে এবার ইভিএম এ ভোট প্রদান করতে হবে ,যা সকল ভোটাররা এ পদ্ধতির সাথে পরিচিত নন।তাই নির্বাচন কমিশন সহ সকল প্রার্থীদের ইভিএম এ ভোট প্রদানের পদ্ধতি ভোটারদের কাছে উপাস্থাপন করতে হবে।

jahid faruk mp