নিজস্ব প্রতিবেদক
একের পর এক সন্ত্রাসী তৎপরতা ও হামলা ভাংচুরের ঘটনায় অতিষ্ঠ হয়ে বরিশাল প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে সাংবাদিকদের সহযোগিতা চাইলেন বরিশাল-২ (বানারীপাড়া- উজিরপুর) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী একে ফাইয়াজুল হক রাজু। তার প্রতীক হচ্ছে ঈগল।
৫ জানুয়ারী শুক্রবার বিকেল ৪টায় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে শের ই বাংলা একে ফজলুল হকের নাতী রাজু অভিযোগ করেন, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে জোটের নৌকা প্রার্থী রাশেদ খান মেনন এর পক্ষে বহিরাগতদের আনাগোনা বেড়েছে। এরা বিভিন্ন স্থানে সন্ত্রাসী তৎপরতা চালাচ্ছে। নির্বাচনে আওয়ামী লীগ দুইভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। যা কেন্দ্রের নির্দেশেই হয়েছে দাবি করে রাজু বলেন, বরিশাল-২ আসনে হিন্দু ভোটার বেশী। কিন্তু যেভাবে রাতের আধারে হুমকি-ধামকি দেয়া হচ্ছে তাতে করে নির্বাচনের দিন হিন্দু ভোটারদের উপর এর প্রভাব পড়তে পারে। এমনকি ঈগলের এজেন্ট হলে নির্বাচন পরবর্তী তাদের তালিকা ধরে দেখে নেওয়ার হুমকি দেয়া হচ্ছে। বানারীপাড়ার বিশারকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শান্ত নানাভাবে তার কর্মী বাহিনীকে হুমকি দেওয়ারও অভিযোগ করেন তিনি।
শের ই বাংলা একে ফজলুল হকের নাতি এবং দুই বারের সংসদ সদস্য ফায়জুল হকের ছেলে ফাইয়াজুল হক বলেন, ওয়ার্কার্স পার্টির চেয়ারম্যান রাশেদ খান মেনন জাতীয় নেতা হিসেবে এই আসনে নির্বাচন করার সুযোগ পেয়েছেন। তিনি এখানকার ভোটারও নন। তবুও আওয়ামী লীগ তাকে সমর্থন দিচ্ছে কারণ তিনি জোট প্রার্থী এবং নৌকা প্রতীকের প্রার্থী। তাই বলে স্বতন্ত্র প্রার্থীর প্রচার প্রচারণায় বাধা দেয়া, তাকে নির্বাচন থেকে বের হয়ে যেতে বলা, এটাতো আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী বা সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের কখনো বলেননি।
রাজু বলেন, আমি নির্বাচন করছি এই নির্বাচনকে প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক করতে। আমি উঠে গেলে কি নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে?
সাংবাদিকদের সহযোগিতা চেয়ে ঈগল প্রতীকের ফাইয়াজুল হক আরো বলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের দুজন নেতার আচরণ মোটেই সন্তোষজনক নয়। তারা আমার প্রতিটি কাজে বিঘœ সৃষ্টি করছেন। তারা ভুলে গেছেন আমিও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের একজন সদস্য। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ মেনে আমি এই নির্বাচনে অংশ নিয়েছি। তবে উপজেলা আওয়ামী লীগের ঐ দুই নেতার নাম স্পষ্ট করেননি ফাইয়াজুল হক। এসময় তার সাথে মেয়ে তাহরিন হকসহ স্থানীয় ও বরিশালের সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।