নিজস্ব প্রতিবেদক
বরিশালে বিক্ষুব্ধ জনতার মাধ্যমে লুট হয়ে যাওয়া বিভিন্ন জিনিসপত্রের মধ্যে নগদ অর্থ ও একটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছেন এলাকাবাসী।
শুক্রবার (৯ আগস্ট) রাতে বরিশাল নগরীর পলাশপুর এলাকা থেকে এসব উদ্ধার করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এ সময় নগদ ৬ লাখ ৯২ হাজার টাকা ও একটি মোবাইল ছিল।
জানা গেছে, শুক্রবার রাতে বরিশাল নগরীর ৭ নম্বর পলাশপুর এলাকার বাসিন্দা ও ফল ব্যবসায়ী জামাল খানের বাসা থেকে টাকাগুলো উদ্ধার করা হয়। পাশাপাশি ৩৪ হাজার টাকা মূল্যের একটি মোবাইল ফোনও পাওয়া যায় সেখানে।
স্থানীয়রা জানান, জামাল আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত থাকায় বরিশাল সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহর বাসায় যাতায়াত ছিল। সরকার পতনের পর গত ৫ আগস্ট সাদিক আব্দুল্লাহর বাসায় হামলা-ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। সে সময় জামালকে একটি স্কুল ব্যাগ নিয়ে বাসায় ফিরতে দেখা যায়। এর দুইদিন পর জামালকে অনেক টাকা গণনা করতে দেখেন তার স্বজনরা। এরপরই বিষয়টি নিয়ে এলাকাবাসীদের সন্দেহ হয়। পরবর্তীতে জামালের সন্ধান না পেয়ে তার বাসায় তল্লাশি চালিয়ে ৬ লাখ ৯২ হাজার টাকা উদ্ধার করেন এলাকাবাসী। সেনাবাহিনীর সহায়তায় সেগুলো কাউনিয়া থানায় জমা দেওয়া হয়।
প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, এসব টাকা ও জিনিসপত্র বরিশাল সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাদিক আব্দুল্লাহর বাসা থেকে লুট করা হয়েছিল। তবে পালিয়ে যাওয়ায় এ বিষয়ে জামালের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
বরিশাল মেট্রোপলিটনের কাউনিয়া থানার ওসি আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, ৬ লাখ ৯২ হাজার টাকা এলাকাবাসী উদ্ধার করে থানায় দিয়েছেন। এ সময় লুটের অভিযোগে অভিযুক্ত জামালের বাবা কাইউম খানও তাদের সঙ্গে আসেন। কাইউম খান জানিয়েছেন, তার বাসায় ওই টাকা ছিল। তার ছেলে বাসা ছেড়ে পালিয়েছেন। তিনি কত টাকা নিয়ে পালিয়েছে তা তার জানা নেই। এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।