প্রতারনা করে ৩৫ লক্ষাধিক টাকা নিয়ে টিসিবির ডিলার উধাও
এবার বিভিন্ন লোকের ৩৫ লক্ষাধিক টাকা নিয়ে উধাও হয়েছে নগরীর ২৫ নং ওয়ার্ডের টিসিবি ডিলার শফিকুল ইসলাম। সু-কৌশলে ব্যবসার লাভের অংশ দেবে এমন লোভ দেখিয়ে ১০/১২ ব্যাক্তির নিকট থেকে ওই অর্থ নিয়ে রাতের আধারে পালিয়ে যায় এই ব্যবসায়ী। মোঃ শফিকুল ইসলাম,পিতাঃ মোঃ মমিন উদ্দিন হাং,মাতাঃ মোসাঃ নুরজাহান বেগম। ঠিকানাঃ রুপাতলী আহম্মেদ মোল্লা সড়ক ২৫নং ওয়ার্ড,বরিশাল সদর বরিশাল। ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ(টিসিবি)বরিশাল এর একজন নিবন্ধিত ডিলার। বিগত ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ইং তারিখ তার রুপাতলী আহম্মেদ মোল্লা সড়কের ভাড়া বাসা থেকে গভীর রাতে পরিবারসহ পালিয়ে যায়। এ সময় এই প্রতারক নগরীর বিভিন্ন এলাকার ১০/১২ ব্যাক্তির নিকট থেকে ৩৫ লক্ষাধিক টাকা নিয়ে যায় বলে জানা গেছে। টিসিবির পন্য ছার করাবার কথা এবং লাভের অংশ দেবে এই মর্মে ওইসব ব্যাক্তির নিকট থেকে বিপুল পরিমান টাকা ধার নিসেবে নেয়,এবং উপরোল্লিখিত তারিখ সমুদয় টাকা নিয়ে কাউকে কিছু না জানিয়ে পরিবার নিয়ে পালিয়ে যায়। খোজ নিয়ে জানা গেছে, বেশ কয়েক বছর যাবত মোঃ শািফকুল ইসলাম টিসিবির বরিশাল শাখার একজন ডিলার হিসাবে নিয়মিত পন্য উত্তোলন এবং বিতরন করে আসছে। ২৫ নং ওয়ার্ডের আহম্মদ মোল্লা সড়কে ‘মেসার্স শফিক কনফেকশনারি’ নামে একটি দোকান ভাড়া নেয়। এরপর আশে পাসের মানুষ,এনজিও এবং তার বন্ধু বান্ধবের সাথে সক্ষতা গড়ে তোলে। বিগত এক বছরে শফিক বিভিন্ন ডিলারদের নিকট থেকে পন্য ছার করিয়ে লভ্যাংশ দেয়ার লোভ দেখিয়ে ৩৫ লক্ষাধিক টাকা নিজের আয়ত্বে নেয়। এসময় বিশ^াস স্থাপনের জন্য সবাইকে একটি করে (খালি) ব্যাংক চেকের পাতাও দেয়। তবে, সেপ্টেম্বর মাসে সকল পাওনাদার তাদের অর্থ ফেরত চাইলে হঠাৎ তার সেল ফোন বন্ধ করে ১৭ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাতে তার স্ত্রী,কন্যা নিয়ে পালিয়ে যায়। এলাকাবাসি জানায়, গভীর রাতে শফিক তার পরিবার এবং প্রচুর মালামাল ট্রাকে ভরে স্থান ত্যাগ করে এবং মোবাইল বন্ধ করে রাখে। প্রতিবেশিরা ধারনা করেছিল, যেহেতেু টিসিবি ডিলার হয়ত তার নির্ধারিত পন্য কোথাও নিয়ে যাচ্ছে। তবে পরেরদিন সকালে পাওনাদাররা ভির করলে প্রকৃত ঘটনা জানা যায়। বিস্ব্যস্ত সুত্রে জানা গেছে,ডিলার শফিকের শশুর আবদুস সালাম বরিশাল (বিএডিসির) লাকুটিয়া শাখার গাড়ি চালক। শশুর এর সাথে কয়েকজন ডিলার বিষয়টি আলাপ করলে তিনি জানান, তার নিকট থেকেও ব্যবসার কথা বলে প্রায় ৬ লক্ষাধিক টাকা শফিক নিয়েছে। সবশেষ ভুক্তভোগিরা তাদের নিকট থাকা শফিকের ব্যাংক চেকের পাতা দিয়ে চেক ডিজঅনার এবং প্রতারনা মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। অপর এক সুত্রমতে,শফিক ইতিপূর্বেও আরেকবার বিপুল অর্থ নিয়ে পালিয়েছিল। অপর এক সুত্রমতে, শফিক ২৩ এবং ২৫নং ওয়ার্ডে তার দুইটি জাতীয় পরিচয়পত্র ব্যবহার করে।