অনলাইন ডেস্কঃ পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় সৌদি প্রবাসীর স্ত্রী ও এক সন্তানের জননীকে দলবেঁধে ধর্ষণ ও ভিডিও ধারণ মামলার পলাতক আসামি বাবু আকন (৩৫) গ্রেফতার হয়েছে।
পটুয়াখালী জেলার তালতলী থানা পুলিশের সহযোগিতায় নিদ্রাসকিনা এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে রোববার রাতে মঠবাড়িয়া থানায় নিয়ে আসেন পুলিশ। বাবু আকন উত্তর মিঠাখালী গ্রামের দেরোয়ার আকনের ছেলে।
এ ঘটনায় গত ১৯ অক্টোবর রাতে মঠবাড়িয়া থানা পুলিশ উপজেলার বকসির ঘটিচোরা গ্রামের নজরুল মাস্টারের ছেলে রবিউল ইসলাম (১৯), উত্তর মিঠাখালী গ্রামের সোহরাব ফরাজীর ছেলে ইলিয়াস ফরাজী (২৭) ও একই গ্রামের জাকির হোসেন তালুকদারের ছেলে রাজু তালুকদার (১৮) গ্রেফতার করে।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ধর্ষণের শিকার ওই প্রবাসীর স্ত্রী সন্তানসহ পৌর শহরে একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করেন। গত বছরের ১৮ অক্টোবর বিকালে কেএম লতিফ সুপার মার্কেটের গ্রাফিক্স পয়েন্ট থেকে কম্পিউটার প্রশিক্ষণ শেষে সন্তান ও বোনের মেয়েকে নিয়ে একটি অটোরিকশায় বাসার উদ্দেশে রওনা দেন। কিন্তু অটোচালক গন্তব্য স্থানে না নামিয়ে আসামিদের যোগসাজশে মঠবাড়িয়া পল্লী বিদ্যুৎ অফিস সংলগ্ন জনৈক মামুনের বাড়ির সামনে গাড়ি থামায় এবং মুখ চেপে মামুনের বাসার বারান্দায় নিয়ে দলবেঁধে ধর্ষণ করে।
এ সময় প্রবাসীর স্ত্রী চিৎকার দিলে বখাটেরা উচ্চ আওয়াজে সাউন্ড বক্সে গান বাজায় এবং ধর্ষণের চিত্র ভিডিও করে। পরে ধর্ষণের শিকার প্রবাসীর স্ত্রী ৯৯৯ নাম্বারে ফোন দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী নিজে বাদী হয়ে পরদিন ১৯ অক্টোবর বুধবার রাতে মঠবাড়িয়া থানায় ৭ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন।
মঠবাড়িয়া থানার ওসি মো. কামরুজ্জামান তালুকদার বলেন, গ্রেফতার বাবুকে সোমবার আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।