নিজস্ব প্রতিবেদক
চোখের দৃষ্টি হারানোর শঙ্কায় আছেন বরিশাল ইউনিভার্সিটি অব গ্লোবাল ভিলেজের (ইউজিভি) বিবিএ-এর শিক্ষার্থী মো: আসাদুজ্জামান রায়হান। বর্তমানে তিনি ঢাকার ধানমন্ডি বাংলাদেশ আই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শুরু থেকে তিনি প্রতি দিনের মতো গত ৪ ও ৫ আগস্টও বরিশাল নগরীর সিঅ্যান্ডবি রোড হাতেম আলী কলেজ চৌমাথা এলাকায় আন্দোলনের অগ্রভাগে ছিলেন।
আন্দোলনের একপর্যায়ে ছাত্র-জনতার সাথে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। এই সুযোগে দুর্বৃত্তরা আন্দোলনকারীদের ওপর গুলি চালায়। এ সময় দুর্বৃত্তদের ছোড়া অনেকগুলো গুলি আসাদুজ্জামানের শরীরের বিভিন্ন স্থানে বিদ্ধ হয়। একটি গুলি আসাদুজ্জামানের চোঁখের ভিতর বিদ্ধ হয়। যা এখনো বহন করে যন্ত্রণায় হাসপাতালের বেডে কাতরাচ্ছেন আসাদুজ্জামান।
চিকিৎসক বলেছেন, আসাদুজ্জামানের চোখ রক্ষা করতে হলে তাকে দ্রুত চিকিৎসার জন্য বিদেশ নিতে হবে। এই মুহূর্তে বিদেশে চিকিৎসার জন্য নিতে হলে কমপক্ষে সাত লাখ টাকা প্রয়োজন। যা তার দরিদ্র পরিবারের পক্ষে বহন করা সম্ভব নয়। জানা গেছে, আসাদুজ্জামান বরিশাল সদর উপজেলার রায়পাশা কড়াপুর ইউনিয়নের শোলনা গ্রামের আনোয়ার হোসেনের ছেলে এবং তার বাবা একজন ট্রাক ড্রাইভার। সংসার চালাতেই নিয়মিত হিমশিম খাচ্ছেন তিনি।
চোখের সামনে সন্তানের এই অসহ্য যন্ত্রণা দেখে নির্বাক অসহায় বাবা আনোয়ার হোসেন। চোখের পানি মুছে নির্বাক দৃষ্টিতে ছেলের চিকিৎসার জন্য সরকার ও জনগণের একটু সাহায্য কিংবা করুনা পেতে ছল ছল করে তাকিয়ে আছেন। এদিকে, আনোয়ার হোসেনের আকুতি বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যেন তার সন্তানের চিকিৎসার ব্যয়ভার বহন করে সুস্থ আসাদুজ্জামানকে তার পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেন। সমাজের বিত্তবানদেরও তার সন্তানের পাশে দাঁড়ানোর অনুরোধের ভাষা হারিয়ে তিনি শুধু দুই চোখের অশ্রু ঝরিয়েছেন।
আহত আসাদুজ্জামানের স্ত্রী অপ্রিম আক্তার বাবনী সাংবাদিকদের জানান, ‘ঢাকায় তার (আসাদুজ্জামান) চোখের একটি আপারেশন শেষ হয়েছে, ভবিষ্যতে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে দেশের বাহিরে নিতে হবে। যার খরচ বহন করা আমাদের পক্ষে অসম্ভব। এজন্য সরকার ও দেশবাসীর সহযোগিতা প্রত্যাশা করছি আমরা।’ আসাদুজ্জামান রায়হানের চিকিৎসা সহযোগিতায় এগিয়ে আসতে চাইলে যোগাযোগ: তার নিজের বিকাশ অথবা নগদ ০১৭৯০-৮৬৯৩২৮