নিজস্ব প্রতিবেদক
বরিশালে স্বল্প পরিসরে মহানগর ও জেলা পুলিশের ১৪ থানার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। শুক্রবার সকাল থেকে কার্যক্রম শুরু হয় বলে মহানগর পুলিশ কমিশনার ও জেলা পুলিশ সুপার জানিয়েছেন।
বরিশাল মহানগর পুলিশ কমিশনার জিহাদুল কবির জানান, নগরীর চার থানার পুলিশ সদস্যরা কোথাও যায়নি। তারা থানাগুলোতে অবস্থান করছেন। দ্রুত সময়ের মধ্যে পুরোপুরি কাজ শুরু হবে। বরিশাল পুলিশ সুপার ওয়াহিদুল ইসলাম বলেন, এ জেলায় ১০ থানা রয়েছে। আমরা স্বল্প পরিসরে কাজ শুরু করেছি। পরিস্থিতি একটু স্বাভাবিক হলে পুরোদমে কাজ শুরু করা হবে। বরিশাল মহানগর পুলিশের কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, “সেনাবাহিনীর সদস্যরা থানার থানায় অবস্থান নিয়েছেন। যেকোনো বিষয়ে জনগণকে সহায়তা করা হচ্ছে।
“বিভিন্ন জায়গায় মৃত্যু বা অপমৃত্যুর যেসব ঘটনা ঘটেছে, সেখান থেকে লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠাচ্ছি। এ ছাড়া যেকোনো অভিযোগ জমা নেওয়া হচ্ছে। নাগরিকরা তাদের যেকোনো অভিযোগ থানায় এসে দিতে পারবেন।” বরিশালের সাধারণ নাগরিক সমাজের আহ্বায়ক কাজী মিজানুর রহমান বলেন, পুলিশ দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সবচেয়ে বড় ভূমিকা পালন করে। তারা যদি এমন চুপ থাকে তাহলে কোনো দিনই নিরাপদ দেশ গড়া সম্ভব হবে না।
দেশের বর্তমান যে পরিস্থিতি তাতে শিক্ষার্থীরা যেভাবে রাস্তায় শৃঙ্খলা ফেরাতে কাজ করছে, তা প্রশংসার দাবিদার। তবে এর স্থায়ী সমাধানে পুলিশকে দ্রুত কাজে ফেরাতে হবে।
পুলিশ যতদিন মাঠে কাজ শুরু না করবে ততোদিন দেশের আইনশৃঙ্খলার উন্নতি হওয়াটা কঠিন হয়ে পড়বে বলে তার ভাষ্য।
শেখ হাসিনা সরকারের পদত্যাগের পর থেকে দেশজুড়ে কর্মবিরতি পালন করছে বাংলাদেশ পুলিশের বৈষম্যবিরোধী কেন্দ্রীয় সমন্বয় কমিটি।
সমন্বয় কমিটির দেওয়া ১১ দফা বাস্তবায়নের দাবিতে বিভিন্ন জেলায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন পুলিশ সদস্যরা।
কোটা সংস্কারের দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের ডাকা আন্দোলন থেকে শুরু করে শেখ হাসিনা সরকার পতন পর্যন্ত দেশজুড়ে ব্যাপক সংঘর্ষ ও সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। এতে শিক্ষার্থী ও সাধারণ জনতা নিহতের পাশাপাশি অনেক পুলিশ সদস্য হতাহতের শিকার হয়েছেন।