ঢাকাWednesday , 17 July 2024
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. ইসলাম
  5. এক্সক্লুসিভ
  6. খেলা
  7. জবস
  8. জাতীয়
  9. তথ্যপ্রযুক্তি
  10. ফিচার
  11. বিজ্ঞাপন
  12. বিনোদন
  13. মতামত
  14. রাজনীতি
  15. লাইফস্টাইল
আজকের সর্বশেষ সবখবর

৯ ঘণ্টা অবরুদ্ধের পর মুক্ত উপাচার্য

admin
July 17, 2024 10:51 pm
Link Copied!

অনলাইন ডেস্ক

পাঁচ দফা দাবি জানিয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তারসহ প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিদের বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের অবরুদ্ধ করে রেখেছেন আন্দোলনকারীরা। ৯ ঘণ্টা পর পুলিশের হস্তক্ষেপে মুক্ত হয়েছেন উপাচার্য ও অর্ধশতাধিক শিক্ষক।

বুধবার (১৭ জুলাই) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে অ্যাকশনে যায় র‌্যাব, পুলিশ ও বিজিবি। এসময় অর্ধশতাধিক রাবার বুলেট, টিয়ারগ্যাস ও সাউন্ড গ্রেনেন্ড নিক্ষেপ করা হয়। এতে ছত্রভঙ্গ হয়ে যান আন্দোলেনকারীরা। পরে প্রশাসনের সহায়তায় অবরুদ্ধ অবস্থা থেকে মুক্তি পান উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তারসহ প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা।

এর আগে সকাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সৈয়দ নজরুল ইসলাম প্রশাসনিক ভবনে তাদের অবরুদ্ধ করে রাখা হয়। পরে বিকেল ৪টায় উপাচার্যসহ প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিদের জন্য খাবার নিয়ে আসেন কয়েকজন কর্মচারী। তারা ভবনে প্রবেশ করতে চাইলে শিক্ষার্থীরা এ খাবার ছিনিয়ে নিয়ে আন্দোলনরত নারী শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিতরণ করে দেন।

এসময় শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘আমরা না খেয়ে এখানে সকাল থেকে আছি। যতক্ষণ না আমাদের দাবি মানা হবে, ততক্ষণ স্যারদেরও খাওয়ার অধিকার নেই। উনারা আমাদের অধিকার ছিনিয়ে নিয়েছেন, আমরা তাদের খাবার ছিনিয়ে নিয়েছি।’

এদিকে বিকেল সাড়ে ৪টায় আন্দোলনকারীদের ১০ জন প্রতিনিধি ও ছয়জন সাংবাদিক প্রতিনিধির সঙ্গে আলোচনায় বসে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তবে আলোচনায় আশ্বস্ত হতে পারেননি শিক্ষার্থীরা।

এর আগে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের কাছে লিখিতভাবে পাঁচ দফা দাবি জানিয়েছিলেন আন্দোলনকারীরা। এসব দাবির বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে দুপুর ২টা পর্যন্ত সময়সীমা বেঁধে দেন তারা। পরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা আলোচনা শেষে দুপুর আড়াইটার দিকে নিজেদের সিদ্ধান্ত জানান। এতে তাদের একটি দাবিও মানা হয়নি জানিয়ে শিক্ষার্থীরা প্রশাসনের কড়া সমালোচনা করে উপাচার্যসহ অন্যদের প্রশাসনিক ভবনে অবরুদ্ধ করে রাখেন। যতক্ষণ পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের দাবি মানা হবে না, ততক্ষণ শিক্ষকদের অবরোধ করে রাখা হবে বলে জানিয়ে দেন শিক্ষার্থীরা। এরপর থেকে তারা অবরুদ্ধ ছিলেন।