অনলাইন ডেস্ক
বরিশালে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আব্দুল মোমেন বলেছেন, ‘স্বাধীনতা-পরবর্তী ১৬ ডিসেম্বর যেমন এক ধরনের ‘‘সিক্সটিন ডিভিশন’’ তৈরি হয়েছিল, এবার নতুন সংকট দেখা দিয়েছে ‘‘ফিফথ আগস্ট ডিভিশন’’ নামে—অর্থাৎ ভুয়া সমন্বয়করা। তাদেরও এখন সামাল দিতে হচ্ছে।’
আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় বরিশাল সার্কিট হাউসের সম্মেলন কক্ষে সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের নিয়ে আয়োজিত ‘দুর্নীতি ও হয়রানিমুক্ত নাগরিকসেবা ও সেবার মানোন্নয়নে করণীয়’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
দুদক চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমি আমার অফিসে ভুয়া সমন্বয়ক পেয়েছিলাম। ভুয়া ও প্রকৃত সমন্বয়কদের অবৈধভাবে সুযোগ দেওয়ার কোনো কারণ নেই। এর বিরুদ্ধে সরকারি কর্মকর্তাদের প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। তাহলে আগামীদিনে অনেক সংকট থেকে মুক্তি মিলবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘একটি দল ক্ষমতায় আসবে সেদিকে ঝুঁকে পড়বেন-এ ঝুঁকে পড়াটা ভালো হবে না। আমাদের কাজ হচ্ছে নিরপেক্ষ সেবা প্রদান করা। আমাদের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে জাতীয় নির্বাচন। আমরা ভালো নির্বাচন উপহার দিতে চাই।’
দুর্নীতি নির্মূলে সকলের সহযোগিতা চেয়ে তিনি বলেন, ‘যেটুকু সময় চেয়ারে আছেন ওই সময়টুকু ভালো কাজ করার আহ্বান জানাই। সন্তানের কাছে ঘুষখোর বাবা-মা হিসেবে চিহ্নিত হবেন না। এখন নারী কর্মকর্তারাও ঘুষ খান।’
অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার আহসান হাবিবের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন বরিশাল বিভাগীয় দুর্নীতি দমন কমিশনের পরিচালক মোজাহার আলী সরদার, জেলা প্রশাসক দেলোয়ার হোসেন, ডিআইজি মঞ্জুর মোর্শেদ আলম ও দুর্নীতি দশন কমিশন (প্রতিরোধ) মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন। মতবিনিময় সভার আগে দুদক চেয়ারম্যান বরিশাল নগরীর খান সড়ক এলাকায় বরিশাল বিভাগীয় দুদকের পাঁচতলা ভবন নির্মাণকাজের উদ্বোধন করেন। প্রায় ৪৪ শতাংশ জমির ওপর ১২ কোটি ৩২ লাখ টাকা ব্যয়ে ভবনটি নির্মিত হচ্ছে।