ছুটছেন মানুষের দোরগোড়ায়, অর্জন করছেন আস্থা
নিজস্ব প্রতিবেদক
তফসিল অনুযায়ী আগামী ৮ মে প্রথম ধাপে সারাদেশে অনুষ্ঠিত হচ্ছে উপজেলা নির্বাচন। ইতিমধ্যে প্রতীক বরাদ্দের পর থেকেই ক্রমশই প্রচারমুখর হয়ে ওঠছে নির্বাচনী এলাকা। প্রার্থীরা স্ব স্ব অবস্থান থেকে কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে প্রচারযুদ্বে নেমে পড়েছেন। পৌছে যাচ্ছেন সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায়। উন্নয়নের নানাবিধ প্রতিশ্রুতি ও তা বাস্তবায়নের অঙ্গীকার তুলে ধরছেন । আর জনপ্রতিনিধিত্বের চেয়ারে আসীন হতে নানা কৌশলে ভোটারদের আস্থা অর্জনে গুরুত্ব দিচ্ছেন তারা। আর এবারের উপজেলা নির্বাচনে অংশ নিয়ে একাধিক নতুন মুখ। ভোটারদের ভালবাসা অর্জনের পুর্বেও নতুনদের অনেকেই জনপ্রতিনিধি হয়ে জনসেবক হিসেবে নিজেকে গড়ার প্রস্ততি নিয়ে নির্বাচনের প্রচারযুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছেন। মানুষের ভাগ্যোন্নয়নে ও সুবিধা বঞ্চিত স্ব স্ব এলাকার উন্নয়নে ভুমিকা রাখার প্রত্যয় ব্যক্ত করেই অংশ নিয়েছেন এ লড়াইয়ে।
এমনি এক রাজনৈতিক মানবিক ব্যক্তিত্বসম্পন্ন মোঃ রাজিব আহম্মদ তালুকদার। আসন্ন প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচনে বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলা থেকে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়ে কাপ-পিরিচ প্রতীকে লড়ছেন তিনি।
উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে মানুষের দোরগোড়ায় পৌছে যাচ্ছেন তিনি। সাধারণ মানুষের সাথে সৌজন্য সাক্ষাত করে নিচ্ছেন খোজখবর। এছাড়া তাদের কাঙ্খিত উন্নয়ন বাস্তবায়নেরও প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন। গতকাল বিকেলে রঙ্গশ্রী ইউনিয়নের বিভিন্ন প্রান্তে গণসংযোগকালে সাধারণ মানুষের সাথে সৌজন্য সাক্ষাত করে উন্নয়ন বাস্তবায়নের নানা প্রতিশ্রুতি ও নির্বাচিত হলে সে মোতাবেক কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
জানা যায়, রাজিব আহম্মদ তালুকদার একজন সমাজ সেবক। মুলত তার পুরো পরিবারই আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সম্পৃক্ত থেকে জনসাধারণের সেবায় নিজেদের নিয়োজিত রেখেছেন বারংবার। সমাজের উন্নয়নে অবহেলিত মানুষের পাশে থেকে জীবনের গুরুত্বপূর্ণ সময়গুলো অতিবাহিত করে চলেছেন । সেই সেবার ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতেই এবারে অংশ নিচ্ছেন নির্বাচনে। মূলত একজন জনপ্রতিনিধি হতে নয় একজন সফল জনসেবক হিসেবে মানুষের মাঝে নিজেকে বিলিয়ে দেয়ার প্রয়াসেই তার এ স্বীদ্ধান্ত।
জানা গেছে, রাজিব তালুকদারের মা পারভীন বেগম উপজেলার নলুয়া ইউনিয়ন পরিষদের ইতিপুর্বে টানা তিনবার চেয়ারম্যান হিসেবে সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন। জনপ্রতিনিধি হিসেবে নয় জনসেবক হিসেবে মানুষের সেবা করে গেছেন। রাজিবও তার ব্যতিক্রমী হয়নি । পরিবারের পাশাপাশি নিজেকে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে যুক্ত রেখে মানবসেবায় নিজেকে নিয়োজিত রেখে সেবা করে যাচ্ছেন। রাজিব কেন্দ্রীয় যুবলীগের সহ-সম্পাদক পদে যথাযথ দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়া বাকেরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক পদে থেকেও দলের ইতিবাচক কার্যক্রম বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে নিজেকে একজন আওয়ামী লীগের পরিচ্ছন্ন কর্মী হিসেবে তুলে ধরতে সক্ষম হয়েছেন।
বাকেরগঞ্জের বিভিন্ন ইউনিয়নের বাসিন্দারা জানান, ইতিবাচক মুল্যবোধের অধিকারী সম্পন্ন ব্যক্তিত্ব রাজিব আহম্মদ তালুকদার জীবনের গুরুত্বপূর্ণ সময় মানুষকে সেবার মধ্য দিয়ে কাটিয়ে যাচ্ছেন। মানুষের ভাগ্যয়োন্ননের প্রয়াসে দিন-রাত স্বপ্ন বুনে চলেছেন। তিনি সর্বদা দান-সদকার পাশাপাশি সমাজের গরীব দুঃখী অবহেলিত মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের দুর্ভোগ লাঘবের প্রচেস্টা অব্যাহত রেখেছেন। ইসলামের খেদমতেও বারংবারই একধাপ এগিয়ে তিনি। স্কুল, কলেজ থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রায়সই নানাবিধ চাহিদা সাধ্যমত পূরণ করছেন তিনি। সমাজ সেবামুখী প্রত্যেক ইতিবাচক কর্মকান্ডে তাকে সক্রিয় অবস্থানেই দেখা যায়। তিনি শুধু এই এলাকায়ই নয়, নিজের সর্বোচ্চ সাধ্যমত বিভিন্ন স্থানের অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে প্রায়সময়ই প্রশংসা কুড়িয়ে চলেছেন। তার এসব কর্মকান্ড অব্যহত থাকুক।
প্রতিবেদককে উপজেলা চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী রাজিব তালুকদার জানান, আমার পুরো পরিবার আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সম্পৃক্ত। এ অবস্থানে থেকে মানুষের সেবায় তাদের পাশে সবসময় থাকার প্রচেস্টা অব্যাহত রয়েছে। মুলত জনগণের প্রত্যাশা থেকেই নির্বাচনে অংশ নিয়েছি।
রাজিব বলেন, গেল দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে আমি বরিশাল-৬ (বাকেরগঞ্জ) আসন থেকে নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলাম। যেহেতু এবারে আসনটি মহাজোট মুক্ত থাকায় আমাদের দলীয় প্রতীক দেয়া হয়েছিল। সে অনুযায়ী আমি আমার অবস্থান থেকে সরে এসে নৌকা প্রতীকের সমর্থন জানিয়েছিলাম।
মানুষের নানা সুবিধা-অসুবিধায় পাশে থেকে তাদের সেবায় মনোনিবেশ ও কাঙ্ক্ষিত সেবা প্রদানই আমার লক্ষ্য। তাদের প্রত্যাশা অনুযায়ী নির্বাচিত হলে পারলে বেশিরভাগ উন্নয়নই নিজস্ব অর্থায়নের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করবো।
রাজিব বলেন, অন্যান্য উপজেলার তুলনায় বাকেরগঞ্জ উপজেলা অনেকটা অবহেলিত। নির্বাচিত হতে পারলে সরকারি বরাদ্দের বাইরেও নিজস্ব অর্থায়নে রাস্তা-ঘাট নির্মাণ , সংস্কারের মাধ্যমে যোগাযোগ ব্যবস্থাকে উন্নত করবো। যাতে সাধারণ মানুষ বর্তমান সরকারের উন্নয়নের সুফল ভোগ করতে পারেন। উপজেলায় অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। তবে এগুলোর কাঠামো অনেকটিরই নড়বড়ে। শিক্ষার মান বৃদ্ধির পাশাপাশি এসব অবকাঠামো উন্নয়নের ছোয়ায় দৃষ্টিনন্দন করে গড়ে তুলব। মাস্টার প্লানের মাধ্যমে উপজেলার সব উন্নয়ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করব।
রাজিব আরও বলেন, তরূন যুবকদের অনেক বড় একটা অংশ বেকারত্ব রয়েছে। তাদের কর্মসংস্কানের মাধ্যমে বেকারত্ব দুরীকরণের মধ্য দিয়ে ব্যক্তি , পরিবার ও সমাজের উন্নয়ন ঘটাবো। রাজিব বলেন, মাদকের বিষয়ে সর্বদাই জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করতে হবে। উপজেলাকে একটি মাদকমুক্ত উপজেলা হিসেবে গড়ে তুলব।
এদিকে রাজিব বলেন, আমার পাশে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক লোকমান হোসেন ডাকুয়া সহ সকল নেতাকর্মীরা ঐক্যবদ্ধ রয়েছেন। আমরা সহাবস্থানে বিশ্বাসী। এ অবস্থানে থেকে আমরা শান্তিপুর্ণভাবে নির্বাচনী কার্যক্রম অতিবাহিত করব।
নির্বাচন অনুষ্ঠিতের বিষয়ে তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের সময়ে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে বলে আমি আশাবাদী । সেক্ষেত্রে মানুষ ভোট কেন্দ্রে গিয়ে যথাযথভাবেই ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন। যোগ্য প্রার্থীকে বাছাইয়ে ভোটারদের প্রতি তিনি শতভাগ আস্থা ও তাদের প্রতি ভালবাসা জ্ঞাপন করেন তিনি ।
উল্লেখ্য, বাকেরগঞ্জ উপজেলায় চেয়ারম্যান প্রার্থী ৪ জন, ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ৩ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ২ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। উপজেলায় মোট ভোটার ৩ লাখ ১ হাজার ২০২ জন। পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৫২ হাজার ৯৭৫ জন, নারী ভোটার ১ লাখ ৪৮ হাজার ২২৪ জন। তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার ৩ জন। আগামী ৮ মে বরিশাল সদর ও বাকেরগঞ্জ উপজেলায় ভোট গ্রহণের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে।