ঢাকাWednesday , 12 April 2023
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. ইসলাম
  5. এক্সক্লুসিভ
  6. খেলা
  7. জবস
  8. জাতীয়
  9. তথ্যপ্রযুক্তি
  10. ফিচার
  11. বিজ্ঞাপন
  12. বিনোদন
  13. মতামত
  14. রাজনীতি
  15. লাইফস্টাইল
jahid faruk mp
আজকের সর্বশেষ সবখবর

সকল নির্বাচনে সাংবাদিকদের ওপর ইসির নতুন নিষেধাজ্ঞা!

admin
April 12, 2023 4:56 pm
Link Copied!

সব ধরনের নির্বাচনে সাংবাদিকদের মোটরসাইকেল ব্যবহারের ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকবে। এছাড়া কোনো নির্দেশনা পালন না করলে সংশ্লিষ্ট সাংবাদিক ও নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নির্বাচনি আইন ও বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নির্বাচনি সংবাদ সংগ্রহে দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংবাদিক/গণমাধ্যমকর্মীদের জন্য নীতিমালায় এমন বিধান আনল নির্বাচন কমিশন (ইসি)। মাঠ পর্যায়ে সাংবাদিকদের অন্যতম বাহন হচ্ছে মোটরসাইকেল, যা ছাড়া স্থানীয় পর্যায়ে গণমাধ্যমের কাজ করাই প্রায় অসম্ভব। এমন যৌক্তিকতা তুলে ধরে সাংবাদিকরা নির্বাচনে তাদের মোটরসাইকেলের ওপর বাধা না দেওয়ার দাবি জানিয়ে আসছিলেন। আর এরই মধ্যে আগের কমিশনের পথ অনুসরণ করে একেবারে আইন করেই গণমাধ্যমের প্রতি এই প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করল কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন কমিশন। ইসির সহকারী পরিচালক (জনসংযোগ) মো. আশাদুল হকের জারি করা ওই নীতিমালায় বলা হয়েছে-সাংবাদিকদের যাতায়াতের জন্য যৌক্তিক সংখ্যক গাড়ির স্টিকার দেওয়া হবে। তবে মোটরসাইকেল ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া যাবে না। কোনো সাংবাদিকের জন্য গাড়ির স্টিকার দেওয়া হলে স্টিকারের ক্রমিক নম্বর রেজিস্টারে লিখে রাখতে হবে। মাঠপর্যায়ের সাংবাদিকদের জন্য প্রয়োাজনীয় সংখ্যক সাংবাদিক পরিচয়পত্র, সাপোর্ট স্টাফ (মিডিয়া) পরিচয়পত্র এবং গাড়ির স্টিকার অন্যান্য নির্বাচনি মালামাল সংগ্রহের সময় নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের জনসংযোগ শাখা হতে সংগ্রহ করতে হবে। নির্বাচনি কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণের সময় সাংবাদিকদের বিষয়ে নির্দেশনাগুলো প্রিজাইডিং অফিসার, সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার ও পোলিং অফিসারসহ সংশ্লিষ্টদের জানিয়ে দিতে হবে। এছাড়া সাংবাদিকদের জন্য কার্ডের নমুনা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও দায়িত্বরত ম্যাজিস্ট্রেটদের সরবরাহ করতে হবে। নির্দেশনাগুলো যেসব সাংবাদিকদের পরিচয়পত্র দেওয়া হবে তাদেরকেও জানাতে হবে। নীতিমালায় সাংবাদিক বলতে ডিক্লারেশন প্রাপ্ত এবং নিয়মিত প্রকাশিত দৈনিক, সাপ্তাহিক, পাক্ষিক প্রভৃতি; অনুমোদিত টেলিভিশন চ্যানেল যা বাংলাদেশ থেকে প্রচারিত হয়; অনুমোদিত অনলাইন নিউজ পোর্টাল; অনুমোদিত ইন্টারনেটভিত্তিক টেলিভিশন; ফ্রি-ল্যান্স সাংবাদিক (তথ্য অধিদপ্তরের সাংবাদিক পাসধারী), আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থায় (তথ্য অধিদপ্তর হতে অনুমতিপ্রাপ্ত) কর্মরত সাংবাদিক এবং বিদেশি সাংবাদিকদের (তথ্য অধিদপ্তরের মাধ্যমে অন্যান্য দেশ থেকে আগত সাংবাদিক) বোঝানো হয়েছে।
অনুমোদন প্রক্রিয়া ঃ রাজধানী কেন্দ্রিক গণমাধ্যম ও সাংবাদিকদের কেন্দ্রীয় সাংবাদিক হিসেবে গণ্য করা হয়। এসব সাংবাদিকদের পাস ও গাড়ির স্টিকার নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের জনসংযোগ অধিশাখা থেকে দেওয়া হয়। এছাড়া স্থানীয় সাংবাদিক বলতে সংশ্লিষ্টনির্বাচনি এলাকা/জেলা/উপজেলা হতে প্রকাশিত পত্রিকা এবং জাতীয় দৈনিক, টেলিভিশন, অনলাইন, আইপিটিভির স্থানীয় প্রতিনিধিকে বোঝায়। স্থানীয় পর্যায়ের এসব সাংবাদিকদের কার্ড ও গাড়ির স্টিকার সংশ্লিষ্টরিটার্নিং অফিসার বা তার কর্তৃক ক্ষমতা প্রাপ্ত কর্মকর্তা দেবেন।
আবেদন প্রক্রিয়া ঃ
ভোটগ্রহণের দিনের অন্তত তিনদিন আগে সংশ্লিষ্ট গণমাধ্যমের অফিসিয়াল প্যাডে নিউজ এডিটর/চিফ রিপোর্টার/বার্তা প্রধান/ব্যুরো প্রধান/ জেলা প্রতিনিধি স্বাক্ষরিত আবেদন নির্বাচন কমিশন সচিবালয় বা রিটার্নিং অফিসার বরাবর দাখিল করতে হবে। সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান হতে কতজন সাংবাদিককে অ্যাসাইনমেন্ট দেওয়া হলো তাদের নাম,প্রতিষ্ঠানের সাংবাদিক পরিচয়পত্র/পিআইডি কার্ড, জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি, সদ্য তোলা এককপি পাসপোর্ট ও এককপি স্ট্যাম্প সাইজ রঙিন ছবি আবেদনের সঙ্গে সংযুক্ত করতে হবে।

নির্বাচনি এলাকা ও ভোটকেন্দ্রে সাংবাদিকদের পালনীয় নির্দেশাবলীঃ

নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে প্রদত্ত বৈধ কার্ডধারী সাংবাদিক সরাসরি ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবেন। ভোটকেন্দ্রে প্রবেশের পর প্রিজাইডিং অফিসারকে অবহিত করে ভোটগ্রহণ কার্যক্রমের তথ্য সংগ্রহ, ছবি তোলা এবং ভিডিও ধারণ করতে পারবেন, তবে কোনোক্রমেই গোপন কক্ষের ভিতরের ছবি ধারণ করতে পারবেন না; একইসঙ্গে দুইয়ের অধিক মিডিয়ার সাংবাদিক একই ভোটকক্ষে প্রবেশ করতে পারবেন না এবং ১০ মিনিটের বেশি ভোটকক্ষে অবস্থান করতে পারবেন না; ভোটকক্ষে নির্বাচনি কর্মকর্তা, নির্বাচনি এজেন্ট বা ভোটারদের সাক্ষাৎকার নিতে পারবেন না; ভোটকক্ষের ভেতর থেকে কোনোভাবেই সরাসরি সম্প্রচার করা যাবে না; ভোটকেন্দ্রের ভেতর থেকে সরাসরি সম্প্রচার করতে হলে ভোটকক্ষ থেকে নিরাপদ দূরত্বে গিয়ে তা করতে হবে, কোনোক্রমেই ভোটগ্রহণ কার্যক্রমে বাঁধার সৃষ্টি করা যাবে না; সাংবাদিকরা ভোটগণনা কক্ষে ভোট গণনা দেখতে পারবেন, ছবি নিতে পারবেন তবে সরাসরি সম্প্রচার করতে পারবেন না। এছাড়া ভোটকক্ষ হতে ফেসবুকসহ কোনো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সরাসরি প্রচার করা যাবে না; কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ কার্যক্রম ব্যাহত হয় এমন সব কাজ থেকে বিরত থাকবেন; ভোটকেন্দ্রে সাংবাদিকরা প্রিজাইডিং অফিসারের আইনানুগ নির্দেশনা মেনে চলবেন; নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কাজে কোনোরুপ হস্তক্ষেপ করতে পারবেন না; কোনো প্রকার নির্বাচনি উপকরণ স্পর্শ বা অপসারণ করতে পারবেন না; নির্বাচনি সংবাদ সংগ্রহের সময় প্রার্থী বা কোনো রাজনৈতিক দলের পক্ষে বা বিপক্ষে যেকোনো ধরনের প্রচারণা বা বিদ্বেষমূলক প্রচারণা হতে বিরত থাকবেন; নির্বাচন অনুষ্ঠানে সহায়তার জন্য নির্বাচনি আইন ও বিধিবিধান মেনে চলবেন। নীতিমালায় আরো বলা হয়েছে, নির্দেশনা কোনো সাংবাদিক পালন না করলে কার্ড ইস্যুকারী কর্তৃপক্ষ তার সাংবাদিক পাস বাতিল করতে পারবেন। এছাড়া সংশ্লিষ্ট সাংবাদিক বা ওই প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নির্বাচনি আইন ও বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ নীতিমালা নির্বাচন কমিশনের অধীনে অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ, উপজেলা পরিষদ, সিটি কর্পোরেশন, জেলা পরিষদ, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদের সাধারণ নির্বাচন ও উপনির্বাচনের জন্য প্রযোজ্য হবে।