নিজস্ব প্রতিবেদকঃ বরিশাল নগরীতে রাতের আঁধারে জানালার গ্রিল কেটে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ঘরের সব সদস্যকে জিম্মি করে ৪ লাখ টাকা এবং ১৪ ভরি স্বর্ণালংকারসহ মূল্যবান মালামাল লুট করে নিয়ে যায় তারা।
শনিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাতে বরিশাল নগরীর ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের কালিজিরা এলাকায় ব্যবসায়ী হাফিজ হাওলাদারের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী হাফিজ হাওলাদার জানান, শনিবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে ৮ থেকে ১০ জনের একটি ডাকাত দল জানালার গ্রিল কেটে তাদের ঘরে প্রবেশ করে। ডাকাত দলের সব সদস্যই বয়সে কিশোর। মুখ ঢাকা থাকলেও পরা ছিল জিন্সের প্যান্ট ও টি-শার্ট। তারা সবাই শুদ্ধ ভাষায় কথা বলছিল। তাদের হাতে অস্ত্র ছিল। এক ঘণ্টার মতো ডাকাতরা বাসায় তাণ্ডব চালিয়েছে। যাওয়ার সময় বলে গেছে: চিৎকার করলে জানালা দিয়ে গুলি করবে, রাস্তায় দেখলে গুলি করবে।
হাফিজ হাওলাদারের স্ত্রী বলেন, ‘ডাকাত দল প্রথমে মেহমানের রুমে ঢুকে তাদের বেঁধে রাখে। তারপর আমার মেয়ের রুমে যায়। আমার মেয়ে চিৎকার দিলে তাকে হত্যা করার হুমকি দেয়। এরপর মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে আমাদের রুমে ঢুকে আমাদের বেঁধে ফেলে। তারপর আমার স্বামী চিৎকার দিলে তাকে গুলি করার চেষ্টা করে বারবার। সবশেষ তাকে ওয়াদা করায় চিৎকার না করার জন্য। তাতেও কাজ না হলে আমার মেয়েকে ধর্ষণ করার হুমকি দেয় ডাকাতরা। তারপর আমার আর মেয়ের স্বর্ণলংকার সব খুলে নিয়ে যায়।’
স্থানীয় মোতালেব সিকদার বলেন, ‘আমরা কিছুদিন আগেও বরিশালজুড়ে ডাকাত আতঙ্কে নির্ঘুম রাত কাটিয়েছি। নগরীর মধ্যে তো আমরা কোনো সময় ডাকাতির খবর পাইনি। এ রকম ঘটনায় আমরা বেশ আতঙ্কিত।’
এ বিষয়ে বরিশাল মহানগরীর কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘এখানে ডাকাতির মতো ঘটনা ঘটেছে। বিষয়টি তদন্ত করছি আমরা এবং জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।’
প্রসঙ্গত, গত এক মাসে বরিশাল মেট্রোপলিটন এলাকায় এ নিয়ে দুটি ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এ ছাড়া বরিশাল জেলার বিভিন্ন স্থানে গত বছরের ডিসেম্বর থেকে চলতি বছর পর্যন্ত বেশ কয়েকটি ডাকাতির খবর পাওয়া গেছে। পাশাপাশি কয়েক মাস আগে ডাকাত আতঙ্কে বরিশাল নগরী ও জেলার বিভিন্ন স্থানের মসজিদের মাইক থেকে সতর্ক করা হয়।