নিজস্ব প্রতিবেদক
বরিশালে এবার শিক্ষার্থীরাই বাজারগুলোতে সকাল থেকে মনিটরিং শুরু করেছে, যা সাধারণ মানুষ স্বাগত জানিয়েছে। শিক্ষার্থীরা বলছে, তারা প্রতিটি বাজারে টিম গঠন করে মনিটরিং চালাচ্ছে, যাতে ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম না বাড়াতে পারে।
শুক্রবার (৯ আগস্ট) নগরীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সবজির দাম কেজিতে ১০ টাকা পর্যন্ত কমেছে। পটল কেজি ৩০ টাকা, শসা ৩০, পেঁপে ৩০, করলা ৬০, বেগুন ৭০, ঝিঙ্গা ৫০ থেকে ৬০, কাঁকরোল ৮০, বরবটি ৭০ থেকে ৮০, কচুমুখি ২০, টমেটো ২০০, কাঁচামরিচ ২০০, ঢেঁড়স ৫০, লেবু (হালি) ৩০, কাঁচকলা (হালি) ৪০, মিষ্টি কুমড়া ৩০ থেকে ৪০, লাউ (আকারভেদে) ৬০ থেকে ১০০, জালি কুমড়া (আকারভেদে) পিস ৫০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মুরগির দাম কেজিতে ২০ টাকা পর্যন্ত কমেছে। ব্রয়লার মুরগি ১৫৫ টাকা, সোনালী ২৫০, লেয়ার ৩৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এদিকে আলু ৫৫ টাকা, পেঁয়াজ ১০০, আদা ২৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
বাজারের ভোক্তারা শিক্ষার্থীদের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। পোর্ট রোড বাজারের এক ক্রেতা আশরাফ উদ্দিন জানান, শিক্ষার্থীদের এমন উদ্যোগ সত্যিই প্রশংসনীয়। তরুণ প্রজন্মের এই উদ্যোগ আমাদের ভবিষ্যতের জন্য আশাব্যঞ্জক। তাদের এ ধরনের কার্যক্রম দেখে আমি মুগ্ধ। পরিচ্ছন্নতা অভিযান, ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ, মন্দির পাহারা দেওয়া, এবং আজকের বাজার মনিটরিং কার্যক্রম দেখে আমার বেশ আনন্দ হয়েছে। আমরা এমন উদ্যোমী শিক্ষার্থীদের নিয়েই আগামীর বাংলাদেশ গড়তে চাই।
খুচরা ব্যবসায়ী উজ্জল বলেন, শিক্ষার্থীরা আজ বাজারে এসে আমাদের সবগুলো দোকান ঘুরে ঘুরে মনিটরিং করেছেন। কেউ যদি অতিরিক্ত মূল্যে পণ্য বিক্রি করে, তাকে বয়কটের কথা জানিয়েছেন তারা। এছাড়া কেউ যদি কোথাও চাঁদাবাজি করতে আসে, তাদের (শিক্ষার্থীদের) সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।
শিক্ষার্থীরা জানান, নতুন বাংলাদেশের নির্মাণে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। আমরা কাঁচাবাজার, মাছ বাজার, আড়ৎ, পাইকারি এবং খুচরা ব্যবসায়ীদের বিভিন্ন পণ্যের মূল্য পর্যবেক্ষণ করছি। সাধারণ মানুষের সবচেয়ে বড় ভোগান্তির জায়গা হলো নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম। এ কারণেই আমরা বরিশালের বিভিন্ন বাজারে মনিটরিং চালাচ্ছি। আড়ৎদার, পাইকারি এবং খুচরা বিক্রেতাদের সঙ্গে দ্রব্যের দাম নিয়ে কথা বলেছি। তারা আমাদের আশ্বস্ত করেছেন যে, এখন থেকে সীমিত মুনাফায় বিক্রি করবেন। শিক্ষার্থীরা আরও জানান, মূল্য নির্ধারণ এবং সিন্ডিকেট মোকাবিলায় তারা সদা তৎপর। এজন্য তারা ক্রেতাদের সতর্ক করছেন এবং ক্ষমতার প্রভাব দেখানোর চেষ্টা হলে শিক্ষার্থীদের জানাতে বলেছেন। ব্যবসায়ী, ক্রেতা, বিক্রেতারা এই বিষয়ে তাদের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন।