নিজস্ব প্রতিবেদক
বরিশাল কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল এলাকায় পুলিশ ও কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষে রণক্ষেত্র তৈরি হয়েছে। সাংবাদিক, আন্দোলনকারী ও পুলিশসহ আহত কমপক্ষে ২০ জন।
ধবার (১৭ জুলাই) বেলা ১২টার দিকে হাতেম আলী কলেজ চৌমাথা এলাকায় সংঘর্ষের সূত্রপাত।
পুলিশের দাবি, কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীরা গাড়ি ভাঙচুর করলে তাদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ারসেল নিক্ষেপ করা হয়। এসময় পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ও লাঠি ছোড়া হয়।
আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, দাবি আদায়ে তারা রাজপথ ছাড়তে না চাইলে পুলিশ তাদের ওপর হামলা করেছে। বেলা সাড়ে ১২টা থেকে শুরু হওয়া সংঘর্ষের রেশ গড়ায় চৌমাথা এলাকা থেকে আন্দোলনকারীদের মূল পয়েন্ট নতুল্লাবাদ বাস টার্মিনাল এলাকায়। টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করে আন্দোলনকরীরা। পুলিশ আন্দোলনকারীদের হটাতে সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে। ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়। এক পর্যায়ে টার্মিনালের পুলিশ বক্সের সামনে পুলিশ অবস্থান নেয়।
তবে পুলিশ বক্সের চারপাশ ঘিরে ফেলে আন্দোলনকারীররা। মুহুর্মুহু ইট, কাচের বোতল ছোড়া হয় পুলিশকে লক্ষ্য করে। পুলিশও টিয়ারসোল রাবার বুলেট সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়তে থাকে। টানা সংঘর্ষ চলতে থাকায় গোটা এলাকা এখন রণক্ষেত্র হয়েছে।
এদিকে, খবর সংগ্রহ করতে গেলে এলোপাতাড়ি হামলা চালায় সাংবাদিকদের ওপর। নতুল্লাবাদ থেকে বিএম কলেজে যাবার প্রবেশ মুখে ডিবিসি নিউজের সাংবাদিক সাব্বির আহম্মেদ, স্থানীয় সাংবাদিক ছিদ্দিকুর রহমানসহ বেশ কয়েকজনকে বেধড়ক লাঠিপেটা করে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীরা। এছাড়াও চলমান সংঘর্ষে বিকেল ৪ টা পর্যন্ত আন্দোলনকারী ও পুলিশসহ কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।