নিজস্ব প্রতিবেদক
বরিশাল সদর উপজেলার জাগুয়া এলাকা থেকে গত ১৯ মার্চ ২টি ড্রেজার আটক করে বরিশাল সদর সহকারী কমিশনার ভূমি আবদুল মতিন খান। আটকৃত ড্রেজার ২টির মালিকের বিরুদ্ধে ভূমি আইনে মামলা দায়ের নির্দেশ দেন মোবাইল কোর্ট পরিচালনা কারী নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট।
মোবাইল কোর্টের নির্দেশনা মোতাবেক মামলা দায়ের করা হয় যাহার জিআর নং ১৬৯। মামলাটি দায়ের হাওয়ার পরে মামলার তদন্তের দায়িত্ব পান বরিশাল সদর নৌ-থানার এস আই সরোয়ার হোসেনের উপর।
তিনি নিয়ম অনুযায়ী মামলায় উল্লেখিত মালামাল জব্দ করে আদালতকে অবহিত করে। জব্দকৃত ড্রেজার ২টি কীর্তনখোলা নদীতেরাখা হয়।
ড্রেজারে পাহাড়াদার না থাকায় একটি চোর চক্র তালা ভেঙ্গে ড্রেজারের মালামল চুরি করে নিয়ে যায়। ঘটনার অনেক দিন পরে ড্রেজার মালিক আল সাঈদ বিষয়টি জানায় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাকে।
তিনি বিষয়টি নিয়ে অসুসন্ধান শুরু করেন কে বা কাহার এই চুরি সংঘটিত করেছে। ফাহিম নামের এক স্থানীয় যুবককে আটক করে বরিশাল সদর নৌ-থানার উপ-পুলিশ পরির্দশক(এস আই) সরোয়ার।
ফাহিমকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ছেড়ে দেয়া হলেও ফাহিমের দেয়া তথ্য মতে যারা এই চুরি সংঘটিত করেছে তারা রয়ে যায় অধরায়।
স্থানীয় সূত্র বলছে চোর চক্রের সাথে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার ভালো সখ্যতা রয়েছে আর এজন্যই পার পেয়ে যাচ্ছে চুরি ঘটনা এবং চুরির সাথে জরিত ব্যক্তিরা। বিষয়টি নিয়ে কথা হয় বরিশাল সদর নৌ-থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আবদুল জলিলের সাথে। তিনি জানান, কিছু মালামাল চুরি হইছে আমরা অনুসন্ধান করতে আছি।
তবে পুরো বিষয়টি উড়িয়ে দিলেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। তিনি বলেন, আমি শুনেছিলাম ফাহিম নামের একটি ছেলে উঠেছিলো তাই তাকে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিলাম। চুরি কোন ঘটনা ঘটে নাই।
ড্রেজার মালিক আল সাঈদ বলেন, ভাই আমার প্রায় ২ লক্ষাধিক টাকার মালামাল চুরি হয়েছে।আমি বিষয়টি মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাকে জানিয়েছি। এবিষয়ে নৌ-পুলিশের বরিশাল অঞ্চলের পুলিশ সুপার কফিল উদ্দিন জানান , আমি বিষয়টি জানি না তবে আপনার কাছে শুনলাম। তবে এমন ঘটনা ঘটে থাকলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে।