অনলাইন ডেস্ক
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে হত্যার হুমকিসহ তার সুনাম, খ্যাতি নষ্ট করার উদ্দেশে নিন্দা প্রকাশের অভিযোগে পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) কলাপাড়া আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আশীষ রায়ের আদালত বাদীর মামলা আমলে নিয়ে কলাপাড়া থানার ওসিকে এজাহার গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন।
আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. কাইউম ও বাদীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট হাফিজুর রহমান চুন্নু আদালতের এ আদেশের সত্যতা স্বীকার করেছেন।
উপজেলার মিঠাগঞ্জ ইউনিয়নের পূর্ব মধুখালী গ্রামের আবুল হাসেম খানের ছেলে অবসরপ্রাপ্ত সেনাসদস্য হাসান মাহমুদ বাদী হয়ে একই গ্রামের মৃত তোজাম্বর আলী খানের ছেলে বাংলাদেশ রেলওয়ে বিভাগের পয়েন্টসম্যান পদে কর্মরত মাসুম বিল্লাহকে আসামি করে দণ্ডবিধির ৩০৭, ৪৯৯, ৫০৬ (খ) ধারায় এ মামলা দায়ের করেন।
মামলায় বলা হয়, গত ২ মে ড. মুহাম্মদ ইউনূস একটি মামলায় হাজিরা শেষে আদালতের বাইরে এলে বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা তাকে প্রশ্ন করেন। তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নের সন্তোষজনক উত্তর দেন। যা বিভিন্ন টিভি চ্যানেলের অনলাইন মাধ্যমে প্রকাশিত হয়। ওই ভিডিও পোস্টে অনেক দর্শক শেয়ার ও কমেন্ট করেন। আসামি ওই ভিডিওতে কমেন্ট করেন, ’আপনাকে দেখে মনে হয় আমেরিকার দালাল।’ যা দেখে বাদীর হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হয়। পরে আসামি এলাকায় বসে ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে সুদখোর, ইহুদি পশ্চিমা দালাল বলে সাক্ষীগণের উপস্থিতিতে মানহানিমূলক উক্তি প্রকাশ করেন। সর্বোপরি আসামি ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে একা পেলে গুলি করে হত্যার হুমকি দেয়।
আদালতের একাধিক সূত্র জানায়, বাদী তার নালিশি মামলাটিতে প্রথমে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৫ ধারাসহ দণ্ডবিধির ৩০৭, ৪৯৯, ৫০৬ (খ) ধারা সংযুক্ত করে দাখিল করায় বিচারক মামলাটি তার এখতিয়ায়বহির্ভূত এবং বরিশাল সাইবার ট্রাইব্যুনালে দায়েরের পরামর্শ দিলে বাদীর আইনজীবী ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ধারাটি কেটে দেন।
সূত্রটি আরও জানায়, মামলাটি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপরাধের বিবরণে লেখা। এ ছাড়া মামলার বিবরণে দণ্ডবিধির ৩০৭ ধারার কোনও উপাদান নেই।
এদিকে মামলা দায়েরের পর মামলার বিবাদী মো. মাসুম বিল্লাহ সাংবাদিকদের বলেন, ’বাদী হাসান মাহমুদ আমার আপন চাচাতো ভাইয়ের ছেলে। গ্রামের স্কুলের নিয়োগসংক্রান্ত দ্বন্দ্বের জেরে আমাকে ঘায়েল করতে আমার বিরুদ্ধে এমন কাল্পনিক ইস্যুতে মামলা দায়ের করেছে। এ ছাড়া ঘটনার দিন আমি গ্রামে নয় অফিসে কর্মরত ছিলাম, অফিসের হাজিরা খাতায় আমার স্বাক্ষর রয়েছে।’