নিজস্ব প্রতিবেদক
তফসিল অনুযায়ী আগামী ২৯ মে তৃতীয় ধাপে সারাদেশে অনুষ্ঠিত হচ্ছে উপজেলা নির্বাচন। ইতিমধ্যে প্রতীক বরাদ্দের পর থেকেই ক্রমশই প্রচারমুখর হয়ে ওঠছে নির্বাচনী এলাকা। প্রার্থীরা স্ব স্ব অবস্থান থেকে কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে প্রচারযুদ্বে নেমে পড়েছেন। পৌছে যাচ্ছেন সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায়। উন্নয়নের নানাবিধ প্রতিশ্রুতি ও তা বাস্তবায়নের অঙ্গীকার তুলে ধরছেন ।
আর জনপ্রতিনিধিত্বের চেয়ারে আসীন হতে নানা কৌশলে ভোটারদের আস্থা অর্জনে গুরুত্ব দিচ্ছেন তারা। ভোটারদের ভালবাসা অর্জনের পুর্বেও নতুনদের অনেকেই জনপ্রতিনিধি হয়ে জনসেবক হিসেবে নিজেকে গড়ার প্রস্ততি নিয়ে নির্বাচনের প্রচারযুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছেন। মানুষের ভাগ্যোন্নয়নে ও সুবিধা বঞ্চিত স্ব স্ব এলাকার উন্নয়নে ভুমিকা রাখার প্রত্যয় ব্যক্ত করেই অংশ নিয়েছেন এ লড়াইয়ে। এমনি এক রাজনৈতিক মানবিক ব্যক্তিত্বসম্পন্ন মো: হারিছুর রহমান। আসন্ন দ্বিতীয়
ধাপের উপজেলা নির্বাচনে বরিশালের গৌরনদী উপজেলা থেকে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়ে মোটরসাইকেল প্রতীকে লড়ছেন তিনি।
উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে মানুষের দোরগোড়ায় পৌছে যাচ্ছেন তিনি। সাধারণ মানুষের সাথে সৌজন্য সাক্ষাত করে নিচ্ছেন খোজখবর। এছাড়া তাদের কাঙ্খিত উন্নয়ন বাস্তবায়নেরও প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন। গতকাল বিকেলে উপজেলার খাঞ্জাপুর ইউনিয়নে মেধাকুল হাই স্কুলে অনুষ্ঠিত তার সমর্থনে এক জনসভায় জনতার ঢ্ল নামে। শত শত ভোটার ও কর্মী-সমর্থকরা ওই সভায় অংশ নেয়। এসময় তারা উপজেলা চেয়ারম্যান পদে হারিছুর রহমানকে বিজয়ী করতে অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
জানা যায়, হারিছুর রহমান একজন সমাজ সেবক। মুলত তার পুরো পরিবারই আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সম্পৃক্ত থেকে জনসাধারণের সেবায় নিজেদের নিয়োজিত রেখেছেন বারংবার। সমাজের উন্নয়নে অবহেলিত মানুষের পাশে থেকে জীবনের গুরুত্বপূর্ণ সময়গুলো অতিবাহিত করে চলেছেন । সেই সেবার ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতেই এবারে অংশ নিচ্ছেন নির্বাচনে। মূলত একজন জনপ্রতিনিধি হতে নয় একজন সফল জনসেবক হিসেবে মানুষের মাঝে নিজেকে বিলিয়ে দেয়ার প্রয়াসেই তার এ স্বীদ্ধান্ত।
গৌরনদী উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের বাসিন্দারা জানান, ইতিবাচক মুল্যবোধের অধিকারী সম্পন্ন ব্যক্তিত্ব হারিছুর জীবনের গুরুত্বপূর্ণ সময় মানুষকে সেবার মধ্য দিয়ে কাটিয়ে যাচ্ছেন। মানুষের ভাগ্যয়োন্ননের প্রয়াসে দিন-রাত স্বপ্ন বুনে চলেছেন। তিনি সর্বদা দান-সদকার পাশাপাশি সমাজের গরীব দুঃখী অবহেলিত মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের দুর্ভোগ লাঘবের প্রচেস্টা অব্যাহত রেখেছেন। ইসলামের খেদমতেও বারংবারই একধাপ এগিয়ে তিনি। স্কুল, কলেজ থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রায়সই নানাবিধ চাহিদা সাধ্যমত পূরণ করছেন তিনি। সমাজ সেবামুখী প্রত্যেক ইতিবাচক কর্মকান্ডে তাকে সক্রিয় অবস্থানেই দেখা যায়। তিনি শুধু এই এলাকায়ই নয়, নিজের সর্বোচ্চ সাধ্যমত বিভিন্ন স্থানের অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে প্রায়সময়ই প্রশংসা কুড়িয়ে চলেছেন। তার এসব কর্মকান্ড অব্যহত থাকুক।