জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আলেম সমাজের ভূমিকাও ছিল অবিস্মরণীয় বলে মন্তব্য করেছেন বরিশাল রেঞ্জ ডিআইজি মো: মনজুর মোরশেদ আলম।
গতকাল সোমবার (৪ আগস্ট) সকাল ১১ টায় বরিশালের বিভাগীয় ইসলামিক ফাউন্ডেশন ও ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমীর মিলনায়তনে ‘জুলাই গণঅভ্যুথানে মাদ্রাসার ছাত্র, আলেম-ওলামাদের ভুমিকা শীর্ষক’ আলোচনা সভায় প্রধান অতিথী হিসেবে এ কথা বলেন তিনি।
এসময় রেঞ্জ ডিআইজি বলেন, ২০২৪ সালের জুলাই গণঅভ্যুত্থান দেশের ইতিহাসের কিংবদন্তিতুল্য আখ্যান। যুগান্তকারী এই ইতিহাস বিনির্মাণে অংশ নিয়েছে জাতি-ধর্ম-শ্রেণি-পেশা নির্বিশেষে সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে আলেম-উলামা এবং মাদরাসা শিক্ষার্থীরাও। জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানে আলেম সমাজের অংশগ্রহণ ছিল উল্লেখযোগ্য।
রেঞ্জ ডিআইজি বলেন, ইসলামের চেতনাকে লালন করতে হবে। ধর্মীয় শিক্ষায় সঠিকভাবে শিক্ষাগ্রহণের মধ্য দিয়ে দেশকে আলোকিত করছে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীরা। তারা কখনোই পিছিয়ে নেই। সাধারণ শিক্ষার পাশাপাশি মাদ্রাসা শিক্ষার্থীরাও তাদের প্রতিভা বিকশিতের মাধ্যমে দেশকে বহি:বিশ্বের মাঝেও সমাদৃত করছে।
মাদ্রাসা শিক্ষার্থীরাও জানেন কোনটি রাজনীতি ও দেশের জন্য মঙ্গলজনক। যার উদাহরণ ৩৬ জুলাই আন্দোলন ও ৫ আগস্ট। লাখ লাখ শিক্ষার্থীদের রাজপথে উচ্ছ্বাস দেখেছি। দেশকে এগিয়ে নিতে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীরাও অনন্য ভুমিকা পালন করছে।
ডিআইজি বলেন, ধর্ম যার যার, রাষ্ট্র সবার। সকলের মধ্যে প্রকৃত দেশপ্রেম থাকতে হবে। সামান্য কিছুসংখ্যক পুলিশ অন্যায় ও অপকর্মে জড়িত ছিল। তাদের বিচার শীগ্রই সরাসরি দেখানো হবে। আমরা সকলে মিলে চাই, একটি বৈষম্যহীন রাষ্ট্র গঠনে। আগামীর বাংলাদেশ হবে শান্তির দেশ। এজন্য বাংলাদেশ পুলিশ নিরলস কাজ করছে। এসময় তিনি দেশজুড়ে গণঅভ্যুথানে নিহতদের রুহের মাগফেরাত ও আহতদের সুস্থ্যতা কামনা করে মাদ্রাসাটির উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করেন।
ইসলামিক ফাউন্ডেশন বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক মো: তৌহিদুল আনোয়ারের সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন ইমাম প্রশিক্ষক একাডেমীর উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মো: নুরুল ইসলামসহ আলেম-ওলামাবৃন্দ।