নিজস্ব প্রতিবেদক
শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বীরউত্তম ছিলেন বাংলাদেশের জাতীয়তাবাদী নেতা, সাহসী মুক্তিযোদ্ধা ও সফল রাষ্ট্রনায়ক বলে জানিয়েছেন বরিশাল নগর বিএনপি’র সদস্য সচিব মো: জিয়াউদ্দিন সিকদার জিয়া।
আজ শুক্রবার (৩০ মে) নগরীর টাউন হলে জিয়াউর রহমানের ৪৪ তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়া মোনাজাত শেষে সাংবাদিকদের দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেন তিনি।
এসময় জিয়াউদ্দিন সিকদার বলেন, একজন নির্ভীক, দৃঢ়চেতা, দায়িত্ববান, পরিশ্রমী, সৎ, আদর্শবান, ধার্মিক, কর্মীবান্ধব, সৃষ্টিশীল ও দূরদর্শী এক জননন্দিত রাষ্ট্রনায়ক জিয়াউর রহমান। মাতৃভূমির একাধিক চরম দুঃসময়ে দ্রুত সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়ে তা বাস্তবায়নের পথে সব অনিবার্য সমস্যা ও ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে সফল হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় সাহস, দৃঢ়তা, প্রজ্ঞা তিনি অর্জন করেছিলেন অপার দেশপ্রেম এবং দায়িত্ব পালনের নিষ্ঠা থেকে। আজ এই বীর মুক্তিযোদ্ধার ৪৪তম মৃত্যুবার্ষিকী।
তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান বীরউত্তমকে আমরা হারিয়েছি এমন এক সময়ে, যখন দেশের উন্নয়ন ও কল্যাণপ্রত্যাশী জনগণ তাঁর সুযোগ্য নেতৃত্বে উন্নয়ন ও শান্তি অর্জনের কর্মযজ্ঞে সক্রিয় এবং নিশ্চিত ইতিবাচক পরিবর্তনের প্রত্যাশায় উদ্দীপ্ত; দেশ-বিদেশে যখন বাংলাদেশ অতীতের অবজ্ঞা ও হতাশা কাটিয়ে মর্যাদা ও আত্মনির্ভরশীলতা অর্জন করতে শুরু করেছে। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র শুধু জিয়াউর রহমানকে কেড়ে নেয়নি। এ দেশের উন্নয়ন-অগ্রগতির জোয়ারকে থামিয়ে দিয়েছে। লাখ লাখ অশ্রুসিক্ত মানুষের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত জানাজা যে অতুলনীয় মর্যাদায় তাঁকে অভিষিক্ত করেছে– তা অতিক্রম করার সৌভাগ্য আর কারও হবে কিনা, শুধু ভবিষ্যৎই বলতে পারবে।
জিয়া আরও বলেন,
শহীদ জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের জাতীয়তাবাদী নেতা, সাহসী মুক্তিযোদ্ধা ও সফল রাষ্ট্রনায়ক ছিলেন। জাতির ক্রান্তিকালে তিনি ত্রাতা হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন; সঠিক পথনির্দেশ করেছেন। ৪৪তম শাহাদাতবার্ষিকীতে আমি এই দেশপ্রেমিক রাষ্ট্রনায়কের বিদেহি আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী যখন রাতের অন্ধকারে নিরস্ত্র বাঙালি জাতির ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েছিল; জিয়াউর রহমান পাকিস্তান সেনাবাহিনীর একজন পদস্থ কর্মকর্তা হয়েও দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েন। তিনি চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে বাংলাদেশের পক্ষে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন। তাঁর সেই সাহসী ঘোষণা শুনে সেদিন দেশের ছাত্র, যুবক, কৃষক, শ্রমিকসহ সর্বস্তরের মানুষ স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশ নিতে ঝাঁপিয়ে পড়েন। তিনি দীর্ঘ ৯ মাস বিভিন্ন রণাঙ্গনে বীরের মতো লড়ে গেছেন বিজয়ের মুহূর্ত পর্যন্ত।
তিনি বলেন, ২০২৪ সালে ছাত্র-জনতার অভূতপূর্ব গণঅভ্যুত্থানে ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের মধ্য দিয়ে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের নীতি-আদর্শ বাস্তবায়ন এবং দেশকে এগিয়ে নেওয়ার সুবর্ণ সুযোগ আবারও এসেছে। এখন যে সংস্কারের কথা বলা হচ্ছে, সেই সংস্কারটা মূলত তাঁর হাত ধরেই এ দেশে প্রতিষ্ঠা পেয়েছে। তিনি বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছেন, বাকস্বাধীনতা নিশ্চিত করেছেন; বন্ধ সংবাদমাধ্যমকে অবারিত করেছেন। সুজলা-সুফলা দেশ গঠনে তিনিই প্রথম সংস্কারের হাত প্রসারিত করেছিলেন।
নগর বিএনপি’র আহবায়ক মো: মনিরুজ্জামান খান ফারুকের সভাপতিত্বে কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন যুগ্ন আহবায়ক জসিম উদ্দিন, মাহফুজুর রহমান মাহফুজ, সাজ্জাদ হোসেন, সদস্য বীর মুক্তিযোদ্বা নুরুল আলম ফরিদ, শ্রমিক দলের সভাপতি ফয়েজ আহমেদ খান, স্বেচ্ছাসেবক দল, ছাত্রদলসহ অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।