একুশের আলো ডেস্কঃ বরিশাল শেরইবাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় কলেজ এর ফরেনসিক বিভাগ থেকে রোগী লাপাত্তা হবার ঘটনা ঘটেছে। ২৮ নভেম্বর সকালে আয়েশা সিদ্দিকা (মিম) নামের এক রোগী অফিস চলাকালীন সময়ে পালিয়ে যায় বলে জানা গেছে। ওসিসিতে ভর্তি ওই রোগীর ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য ফরেনসিক বিভাগে পুলিশ প্রহরায় নিয়ে গেলে ,কিছুক্ষন পরে, ফরেনসিক বিভাগের দ্বায়ীত্বরত সামলা বেগম পুলিশকে ফোন করে রোগীর লাপাত্তা হবার বিষয়টি জানায়। এই ঘটনায় কলেজ অধ্যক্ষ ডাঃ এস এম সারওয়ার ডিশেম্বর মাসের ৩ তারিখ কলেজের সহকারি অধ্যাপক ফিজিওলজি বিভাগের ডাঃ অহিদা সুলতানাকে প্রধান করে তিন সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করেছে। কমিটির অপর দুই সদস্য হচ্ছেন, এনাটমি বিভাগের কিউরেটর ডাঃ রইচউদ্দিন আহম্মেদ এবং ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের ডাঃ মোঃ রেফায়েতুল হায়দার। কমিটিকে তিন কার্য দিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সুত্রমতে, বরিশাল কোতয়ালি থানার নারি ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের মামলা নং ৭০ এর ভিকটিম আয়েশা সিদ্দিকা মিম মেডিকেল হাসপাতালের ওসিসিতে ভর্তি থাকা অবস্থায় গত ২৮ নভেম্বর সকালে তার পরীক্ষা সম্পন্ন করার উদ্দেশ্যে পুলিশ সদস্য মোঃ শাকিল করেজের ফরেনসিক বিভাগে নিয়ে যায়। এ সময় ফরেনসিক বিভাগে দ্বায়ীত্বরত ছিল এমএলএস সালমা বেগম, পুলিশ সদস্য মোঃ শাকিল এর বক্তব্য অনুয়ায়ী ,ফরেনসিক বিভাগে গিয়ে তিনি আয়েশা সিদ্দিকাকে সালমা বেগমের হেফাজতে রেখে প্রকৃতির ডাকে পার্শ্ববর্তী বাথরুমে যায়। এর কিছুক্ষন পরে সালমা তাকে ফোনে জানায় ফরেনসিক বিভাগের রুমে ভিকটিমকে পাওয়া যাচ্ছেনা। এক পর্যায়ে শাকিল ওসিসির এস আই মোঃ আঃ জলিলকে বিষয়টি অবহিত করে এবং তারা ফরেনসিক বিভাগ এবং মেডিকেল ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানে খোজখোজি করেও আয়েশাকে আর পাওয়া যায়নি। পরবর্তীতে এসআই জলিল ওসিসির কো-অর্ডিনেটরসহ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাদের বিষয়টি অবহিত করে এবং থানায় একটি সাধারন ডায়রি করেন। খোজ নিয়ে জানা গেছে, ফরেনসিক বিভাগের এমএলএসএস সালমা বেগম ইতোপূর্বেও বিভিন্ন সময় দ্বায়ীত্বে অবহেলার ঘটনা ঘটিয়েছে। এমএলএসএস পদের কর্মচারি হয়েও তিনি তার কাজের প্রতি ছিল উদাসিন। বরং অনেক সময় তার আচার-আচরন ছিল কর্তাব্যাক্তিদের ন্যায়। এ নিয়ে তাকে বহুবার সতর্ক পর্যন্ত করা হয়েছিল। কলেজের ফরেনসিক বিভাগটি একটি সংবেদনশীল বিভাগ এখানে বিভিন্ন রোগী,পুলিশ সদস্য এবং চিকিৎসকদের আনাগোনা থাকে। তাই এরকম একটি স্থানে দ্বায়ীত্বশীল কর্মচারি থাকা বাঞ্চনীয় বলে জানান সংশ্লিষ্ট বিভাগের একাধিক কর্মকর্তা। ইতোপূর্বে ফরেনসিক বিভাগ থেকে কোন রোগী পালানোর বা লাপাত্তা হবার ঘটনা ঘটেনি বলেও জানান আনেকে।