অনলাইন ডেস্কঃ বাবুগঞ্জ উপজেলার রাকুদিয়া গ্রামে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে এক মাদ্রাসা শিক্ষককে কুপিয়ে রক্তাক্ত করেছে সোহাগ ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী। শুধু তাই নয় প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে মিলন নাটকীয় ভাবে মুলাদী থানা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৭ডিসেম্বর) দুপুর পৌনে১টায় ৩ নং দেহেরগতি ইউনিয়নের আব্দুল খালেক শিকদারের ঘরের দক্ষিণ পাশে এ হামলার ঘটনা ঘটে। আহতের নাম মোঃ ইমরান শিকদার। সে ওই গ্রামের বাসিন্দা বাবুল শিকদারের ছেলে ও উত্তর রাকুদিয়া জৈনপুরী নূরানী ও হাফিজিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক। বর্তমানে সে শেবাচিম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আহতের বাবা বাবুল জানান, তার ছেলে হাফেজ ইমরানের সাথে একই গ্রামের বাসিন্দা মৃত আবুল কাশেম শিকদারের ছেলে সোহাগের সাথে দীর্ঘদিন ধরে পূর্ব শত্রুতা চলে আসছে। তারই ধারাবাহিকতায় ঘটনার দিন দুপুরে সালেমা বেগমের নেতৃত্বে তার ছেলে সোহাগ, মিলন ও ভাগ্নে নাহিদ সহ অজ্ঞাত আরও ৪/৫ জন ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী জোরপূর্বক বাড়ির মজগুনি পুকুর থেকে মাছ ধরে নেয়।এ সময় বাড়ির অন্যান্য মজগুনিদের মত ইমরান সোহাগকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে গেলে উভয়ের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে ক্ষিপ্ত হয়ে সোহাগ সহ অন্যান্যরা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ইমরানকে হত্যার উদ্দেশ্যে রামদা ও চাপাতিসহ দেশীয় অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। তার ডাক চিৎকারে তার স্বজনরা ঘটনাস্থলে ছুটে যায় এবং আহতকে উদ্ধার করে তাৎক্ষণিক বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানান, ওই ইউনিটের কর্তব্যরত চিকিৎসকরা। বাবুল আরো জানান, তিনি বেসরকারি একটি মালবাহী জাহাজের প্রথম শ্রেণীর মাস্টার। বাড়িতে না থাকার সুবাদে তার পরিবারকে সোহাগ ও তার পরিবার একের পর এক জ্বালা যন্ত্রণা দিয়ে অতিষ্ঠ করে তুলেছে বলে অভিযোগ। এছাড়াও তারা জীবননাশের হুমকি ধামকি সহ বিভিন্ন রকমের ভয়-ভীতি দেখিয়ে আসছে তার পরিবারকে। তাদের অত্যাচারে গ্রামবাসী অতিষ্ঠ। তাদের বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায় না। এদিকে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে মিলন নাটকীয় ভাবে মুলাদী থানা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়ে উল্টো ইমরান ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে বাবুগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেছে। এ ব্যাপারে আহত ও তার পরিবার প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছে।