সন্ধা নামলেই কুয়াশার চাঁদওে ঢেকে যায় বরিশাল আর সকালের বুকচিরে ভোরের সূর্যোদয়। নীল আকাশের থোকা থোকা সাদা মেঘের ভেলা। বরিশালে গত কয়েকদিন থেকে এমন দৃশ্য যেন শুনাচ্ছে শীত সমাগত।ইতোমধ্যে কাঁচা বাজারগুলোতেও উঠতে শুরু করেছে শীতের রকমারি সবজি। শীত আর বেশি দূরে নেই, গত কয়েকদিন ধরে বরিশালে সূর্যোদয়ের আগ থেকে না হলেও রাত ৯ থেকে ১০ টা থেকে হালকা কুয়াশার চাদরে ঢাকা থাকছে চারপাশ। আর ফজরের সময় থাকছে মোটামুটি ঘন কুয়াশা। সঙ্গে থাকছে ঠান্ডা বাতাসের প্রবাহ। নগরজীবনে অনুভূত না হলেও গত কয়েকদিন থেকে শীতের আগমনি বার্তা ভালোই ঠের পাচ্ছেন বরিশালের গ্রামাঞ্চলের মানুষ। বরিশাল সদর উপজেলার এক কৃষক জানালেন, ৩ থেকে ৪ দিন আগেও রাতে বৈদ্যুতিক পাখা ছেড়ে ঘুমাতে হতো। তবে এশার নামজের পর থেকে কিছুটা শীত শীত অনুভূতি হয়। আর ফজরের সময়তো রীতিমতো একটু মোটা কাপড় পরতে হয়। তবে নগরীর বাসিন্দারা অনেকে এখনও বাসা বাড়িতে ফ্যান চারিয়ে ঘুমায়। এদিকে, বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে একটু বেশিই শীত অনুভূত হচ্ছে বলে জানালেন শহরতলি তালতলীর বাসিন্দা নেয়ামত হোসেন। গত এক সপ্তাহ থেকে নগরীর সড়কে চলাচলকারী মোটর সাইকেল আরোহিরা ঠান্ডা অনুভব করছেন বলে জানান। মনে হচ্ছে গতবারের মতো এবারও তীব্র শীত পড়বে।জলবায়ু পরিবর্তনের কারনে শীত/গৃীস্ম সব সময় আবহাওয়া চরম ভাবাপন্ন থাকে বলেও জানায় আবহাওয়া অধিদপ্তর। নগরবাসি ইতোমধ্যেই শীত সামাল দেবার জন্য লেপ কম্বল বের করেছেন বলেও জানা গেছে। সেইসাথে বেড়েছে ধুনকারের কর্মযজ্ঞ।