অনলাইন ডেস্কঃ বিয়ের দাবিতে প্রেমিক সুজন চন্দ্র দাসের (৩২) দোকানে অনশন করছেন প্রেমিকা।
ঘটনাটি ঘটেছে বরিশাল সদর উপজেলা চরমোনাই ইউনিয়নের পশ্চিম চরমোনাই ৭ নং ওয়ার্ড বিশ্বাসের হাট এলাকায় বিকাল ৩টার দিকে এ ঘটনাটি ঘটেছে। গত বৃহস্পতিবার মেয়েটি অনশন শুরু করেন, নিশিতা রানী (২৫) পটুয়াখালী দশমিনা পশ্চিম লক্ষীপুর ৫ নং ওয়ার্ডের নিখিল চন্দ্র মাঝী মেয়ে।
নিশিতা রানী বলেন ৭ বছর আগে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হই তার সংসারিক জিবন ভালোই ছিলো, নিশিতা রানী ছোট ভাই বিবাহ অনুষ্ঠানে সুজন চন্দ্র দাসের
সাথে পরিচয় হয়। অনাশনরত মেয়েটি জানান পরিচয়ের পর থেকে আমার মোবাইল ফোনের মাধ্যমে কথোপকথন হয়। এপর্যায়ে আমাদের মাঝে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে
ওঠে। প্রেমের সম্পর্কের পরে আমাদের মাঝে একাধিকবার দৈহিক সম্পর্কও গড়ে ওঠে।
আমার জীবনের সব কিছু শেষ করে দিয়েছে। আমাকে আমার স্বামীর কাছ থেকে ত্যাগ করায়। আমি আমার স্বামীকে তালাক দিয়ে ওর এখানে চলে আসি। আমি চলে
আসার পরে সুজন পাল্টি মারে এখন আমাকে চিনে না। আমি বিয়ের দাবীতে এখানে এসেছি। হয় আমাকে বিয়ে করবে না হয় আমি আত্মহত্যা করবো। আমি ৪/৫দিন হলো এখানে এসেছি। আমাকে সুজনের পরিবারের লোকজন একাধিকবার মারধরও করেছে। আমি এই ঘটনার বিচার চাই।
স্থানীয়রা জানান, মেয়েটি এসেছে আমরা জানি কিন্তু
পারিবারিক ভাবে আমরা কিছু করতে পারছি না। অনাশনরত মেয়েটি জানান, স্থানীয় একটি মহল আমাকে নিয়ে ষড়যন্ত্র করছে।
এবিষয়ে কোতয়ালী মডেল থানার অফিসার
ইনচার্জ (ওসি) মোঃ আনোয়ার হোসেন বলেন, স্থানীয় ভাবে বিষয়টি শুনে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। ভুক্তভোগী অভিযোগ দায়ের করলে তদন্ত সাপেক্ষে
আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।