বরিশালের মুলাদী উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী মুরাদ হোসেন নগদ বিশ লাখ টাকা এবং চার লাখ টাকার স্বর্ণালংকারসহ প্রবাসীর স্ত্রীকে নিয়ে উধাও হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার চরকালেখান ইউনিয়নের ৭,৮,৯ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত সদস্য আছমা খানম লাকীকে নিয়ে উধাও হয়ে হয়েছেন বলে। আছমা খানম লাকী উপজেলার চরকালেখান ইউনিয়নের আবুল হাশেম কাজীর ছেলে মোতালেব কাজীর স্ত্রী। অন্যদিকে প্রবাসীর ওই স্ত্রী থানায় গিয়ে মৌখিকভাবে তাকে ধর্ষণের অভিযোগ দিলেও পরবর্তীতে তিনি আর থানায় আসেননি। মুলাদী থানার ইনচার্জ ফয়েজ উদ্দীন মৃধা এই থথ্য নিশ্চিত করেছেন। প্রবাসীর বাবা আবুল হাশেম কাজী জানান, প্রায় ১৭ বছর আগে তার কুয়েত প্রবাসী ছেলে মোতালেবের সাথে ষোলঘর গ্রামের আক্তার খানের মেয়ে আছমা খানম লাকীর বিয়ে হয়। বিবাহিত জীবনে তাদের এক পুত্র ও এক কন্যা সন্তান রয়েছে।
বিগত ২০১৬ সালের ইউপি নির্বাচনের সময় আছমা খানম লাকী সংরক্ষিত মহিলা সদস্য প্রার্থী হলে উপজেলা ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক কাজী মুরাদের সাথে তার পরিচয় হয়।
পরিচয়ের সূত্র ধরে একপর্যায়ে তাদের মধ্যে পরকীয় প্রেম ও অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
গত সোমবার (১৬ নভেম্বর) বিকালে আছমা খানম লাকী ২০ লক্ষ টাকা ও ৪লক্ষ টাকার স্বর্ণালংকার নিয়ে তার পরকীয়া প্রেমিক কাজী মুরাদের সাথে চলে যায়। বিষয়টি নিয়ে আবুল হাসেম কাজী বাদী হয়ে আছমা ও মুরাদের বিরুদ্ধে মুলাদী থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। মুলাদী থানার অফিসার ইনচার্জ ফয়েজ উদ্দীন মৃধা জানান, গত ১৬ নভেম্বর সকালে প্রবাসীর স্ত্রী আছমা খানম লাকী থানায় এসে উপজেলা ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক কাজী মুরাদ হোসেনের বিরুদ্ধে ধর্ষনের অভিযোগ করেছিলেন। তাকে লিখিত অভিযোগ দিতে বলায় তিনি থানা থেকে চলে গেছেন।
তবে আছমা খানমের শ্বশুর আবুল হাশেম কাজী তার পুত্রবধু ও কাজী মুরাদের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী মুরাদ হোসেনের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করে তাকে মুঠোফোনে পাওয়া যায়নি। বরিশাল জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আব্দুর রাজ্জাক জানান, মুলাদী উপজেলা ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক কাজী মুরাদ হোসেনের বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়টি শুনেছি। তাঁর বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।