অনলাইন ডেস্ক
বরগুনার দারুল উলুম নেছারিয়া কামিল (আলিয়া) মাদ্রাসায় এইচএসসি পরীক্ষায় অনিয়মের অভিযোগে অধ্যক্ষসহ ৪ মাদ্রাসার ৭ শিক্ষককে হল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) দুপুরে সাড়ে ১২টার দিকে বরগুনা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে তাদের বহিষ্কার করেন হল সুপার।
বরগুনা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শামীম মিঞা জানান, বাংলা প্রথম পত্রের পরীক্ষায় সদরের আলিয়া মাদ্রাসার ৬, ৭ ও ৯ নম্বর হলে ৮০ জন পরীক্ষার্থীকে অনৈতিক সুবিধা দেওয়ার জন্য নৈর্ব্যক্তিকের কোড পরিবর্তন করে প্রশ্নপত্র দেওয়া হয়।
বহিষ্কারকৃত শিক্ষকরা হলেন- বদরখালী ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আশরাফ আলী, কেওড়াবুনিয়া ইসহাকিয়া আলিম মাদ্রাসার উপাধ্যক্ষ রেজাউল ইসলাম, পূর্ব গুদিঘাটা কামিল মাদ্রাসার সহকারী অধ্যাপক সগির হোসাইন ও সহকারী অধ্যাপক বেলাল হোসাইন এবং চরকগাছিয়া ফাজিল মাদ্রাসার প্রভাষক বেলাল হোসেন, খাকবুনিয়া ফাজিল মাদ্রাসার প্রভাষক মোহাম্মদ ইসমাইল এবং কেওড়াবুনিয়া ইসহাকিয়া মাদ্রাসার প্রভাষক মিজানুর রহমান।
বরগুনা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শামীম মিঞা বলেন, তথ্য পেয়ে ৩টি কক্ষে দায়িত্বরত ৭ শিক্ষকের অনিয়মের প্রমাণ পেয়ে তাদের বহিষ্কারের নির্দেশ দিয়েছি। এরপর তাদের স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করেন হল সচিব।
আলিয়া মাদ্রাসার হল সচিব ও অধ্যক্ষ মো. মামুনুর রশিদ বলেন, আদেশ পেয়ে তাদের বহিষ্কার করেছি। চাকুরি জীবনে তারা আর কোনোদিন পরীক্ষার হলে দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না। তবে অনৈতিক সুবিধা নেওয়া ৮০ জন শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেননি তারা। অনৈতিক সুবিধা নেওয়া শিক্ষার্থীদের বিষয়ে কেন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি জানতে চাইলে, তিনি কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি।
বরগুনার জেলা প্রশাসক মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, এই বিষয়ে বরগুনা সদর সহকারী কমিশনারকে (ভূমি) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছি। হল সচিবের কোনো গাফিলতি আছে কিনা সেই বিষয়ে তদন্ত শেষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।