অনলাইন ডেস্কঃ বরিশাল নগরীর চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী এবং তার চাঁদাবাজদের ছেলে ও জামাতার বিরুদ্ধে আদালতে শ্লীলতাহানীর অভিযোগে মামলা দায়ের করেছেন এক কলেজ ছাত্রী।গতকাল বরিশাল বিজ্ঞ মেট্টোপলিটন ম্যাজিষ্ট্রেট আমলী আদালতে ভূক্তভোগী উর্মি আক্তার বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। মামলাটি আমলে নিয়ে কোতয়ালী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জকে এজাহার হিসাবে নেয়ার আদেশ দেন আদালত।
মামলা সূত্রে জানা যায়, বরিশাল নগরীর ১০ নং ওয়ার্ডের ভাটারখাল বস্তি এলাকার বাসিন্দা মাদক সম্রাজ্ঞী বেবীর পুত্র তারেক এবং সাদ্দামের ত্রাসে অতিষ্ঠ ওই এলাকার মানুষ। কেউ তাদের বিরুদ্ধে মুখ খুললে তাদের মারধরের স্বীকার হতে হয়।বরিশাল মহানগর এক আওয়ামীলীগ নেতার ছত্রছায়ায় ২ ভাই এবং ভগ্নপতি ওই এলাকাকে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে।
এদের পক্ষে থানা পুলিশের অসাধু চক্র সহযোগীতা করে বলেও জানা গেছে। মামলার বিবরনীতে জানা যায়, বাদী ২০১৯ সালে পর্ণোগ্রাফি আইনে একটি মামলা দায়ের করেন যাহার জিআর নং ১১১৫।মামলাটি দায়ের করার পর থেকে তার এবং তার পরিবারের উপর প্রায়ই হামলা চালায় এরা। এঘটনা নিয়া একাধিকবার শালিস মিমাংসা হলেও ওদের ত্রাস কমে নাই।এরা আরো বেপরোয়া হয়ে উঠে। উল্লেখ্য যে গত ৩ ফেব্রুয়ারী বুধবার বরিশাল নগরীর ভাটারখাল এলাকায় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে মাদক সম্রাজ্ঞী বেবি ও তার সহযোগীদের হামলায় অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূ সহ পরিবারের ৩ জন রক্তাক্ত হয়েছে।বুধবার সকাল দশটা কীর্তনখোলা নদীর তীর কোস্টগার্ডের সামনে এ ঘটনা ঘটে।আহতরা হলেন, সোহরাব চৌধুরীর স্ত্রী ৬ মাসের অন্তঃসত্ত্বা সুমি বেগম ও তার ছেলে সাফিন, এবং সুমির ছোট বোন উর্মি আক্তার।এদের মধ্যে গুরুতর অন্তঃসত্ত্বা সুমি ও তার ছেলেকে শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে এবং উর্মি প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
হামলায় অন্তঃসত্ত্বা সুমির পেটে মারাত্মক জখম হয়েছে। তবে আল্ট্রাসনো রিপোর্ট সুমির সন্তানের কতটা ক্ষতি হয়েছে তা না দেখে কিছু বলা যাবে না বলে জানিয়েছেন শেবাচিমের কর্তব্যরত চিকিৎসক।আহত সুমি জানান, দীর্ঘদিন ধরে সুমি ও তার পরিবারের সিটি মার্কেট কাঁচা বাজারের একটি দোকান দখল করা নিয়ে হালিম শাহ ও তার স্ত্রী বেবির সাথে বিরোধ চলে আসছে।
সুমি ও তার পরিবার বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানায় অভিযোগ দেয়া হলে সম্প্রতি থানার অফিসার ইনচার্জ নুরুল ইসলাম উভয় পক্ষকে ডেকে সমাধান করে আমাদের দোকান বুঝিয়ে দেয়া হয়।এরপর থেকে বেবি ও তার পরিবারের সহযোগীরা আমাদের ওপর বিভিন্ন ভয়-ভীতি সব প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে আসছে।বুধবার সকালে সুমির ১২ বছরের ছেলে সাফিন কে ভাটারখাল এলাকায় একা পেয়ে মাদক সম্রাজ্ঞীর বেবি চর থাপ্পড় মারেন। বিষয়টি জানতে পেরে সুমি ও তার ছোট বোন উর্মি আক্তার জিজ্ঞাসাবাদ করলে বেবি ও তার স্বামী হালিম, ছেলে সাদ্দাম, তারেক, মেয়ে রোশনী, মেয়েজামাই জীদনী, সাব্বির সহ কয়েকজন পরিকল্পিতভাবে সুমির উপর হামলা করে। এবং তার পেটের সন্তান নষ্ট করার চেষ্টা চালায়।এ সময় ছোট বোন উর্মি বাঁচাতে আসলে তাকেও পিটিয়ে আহত করে বেবি সহ অন্যান্য সহযোগীরা।
স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে তাৎক্ষণিক হাসপাতালে ভর্তি করেন। এদের মধ্যে গুরুতর অন্তঃসত্ত্বা সুমি হাসপাতালের গাইনি বিভাগে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
Leave a Reply